সেপটিক ট্যাংকে স্ত্রীর মরদেহ, স্বামীসহ গ্রেপ্তার ৩
গাজীপুরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে মরদেহ ফেলে পালিয়ে যান স্বামী। এ ঘটনায় স্বামী শাহজাহান মিয়াসহ তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১।
বৃহস্পতিবার র্যাবের আলাদা দুটি অভিযানে নারায়ণগঞ্জ জেলার ডেমরায় আসামির বন্ধুর মেস থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বাকি দুইজন সহযোগী হলেন, মো খোকন মিয়া এবং মো মুকুল মিয়া।
মুকুল মিয়া বিগত ৮ বছর ধরে গাজীপুর-মাওনা রোডে লেগুনার ড্রাইভার হিসাবে কাজ করেন। মো খোকন মিয়া একটি খাবারের হোটেলে কাজ করেন।
র্যাব-১ জানায়, হত্যার মূল আসামি শাহজাহান মিয়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবদে স্বীকার করেছেন, ৩ জানুয়ারি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাক বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তা মারামারি পর্যন্ত গড়ায়। পরবর্তীতে রাগের বশবর্তী হয়ে স্ত্রী আফরোজাকে গলা টিপে হত্যা করে। হত্যার সময় তার মেয়ে বাসার বাইরে ছিল। তাৎক্ষণিকভাবে ভয় পেয়ে লাশ খাটের নীচে লুকিয়ে রাখে। পরবর্তীতে লাশ গুমের উদ্দেশ্যে তার বন্ধু খোকন মিয়া ও মুকুলকে ডেকে পুরো বিষয়টি বিস্তারিত জানায়। তাদের পরামর্শে রাতে বাসার পাশে সেপটিক ট্যাংকে লাশ ফেলে দেয়। শাহাজাহান ও খোকন লাশ বাসা থেকে নিয়ে যায় আর মুকুল রাস্তা পাহারা দেয়।
লাশ গুম করার জন্য সাহায্য করায় শাহজাহান মিয়া খোকনকে চার হাজার ও মুকুলকে আড়াই হাজার টাকা দেয়। এই কথা বাকি দুইজন স্বীকার করে।
র্যাব-১ এর উপ-অধিনায়ক রাকিব্বুজ্জামান জানায়, আসামিকে ধরতে আমরা তার পরিবারের সদস্যদের মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করি। তিনি তার মেয়ের খবর নেয়ার জন্য দুইবার ফোন দেন। সেইসূত্র ধরেই শাহজাহানকে আমরা গ্রেপ্তার করি।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্ত থেকে জানা যায় শাহজাহান মিয়া ছোটবেলা থেকেই দারিদ্রতার মধ্যে ছিলেন। তাদের প্রেমের বিয়ে কিন্তু পরিবারের সম্মতিতেই বিয়ে হয়। তার স্ত্রী ২০১৬ সালে সৌদি আরব যায়। ছয় মাস আগে তিনি দেশে ফিরে আসেন। তার স্ত্রীর কাছে সে বিদেশে অর্জিত টাকার হিসাব চাইলে। স্ত্রী জানাতে অস্বীকার করলে তাদের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। পারিবারিক কলহ থেকেই এই হত্যার সূত্রপাত।
আরসি/জেএইচ
মন্তব্য করুন