ইয়াবার নতুন রুট বরিশাল
মাদক ব্যবসায়ীরা বদলে ফেলছে ইয়াবা চালানের রুট।এ মরননেশার চালান এখন চট্টগ্রামের বদলে টেকনাফ থেকে সরাসরি গভীর সমুদ্র দিয়ে বরিশাল, বরগুনা এবং পটুয়াখালীসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকা দিয়ে সবখানে সরবরাহ করা হয়।
মঙ্গলবার বিকেলে র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল মিফতাহ উদ্দিন আহমদ সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, সাম্প্রতিক সময়ে র্যাব চট্টগ্রাম সমুদ্রে টহল জোরদার করে টেকনাফ থেকে চট্টগ্রাম রুটে অভিযান চালিয়ে ইয়াবার বেশ কয়েকটি বড় বড় চালান আটক করে। এজন্য মাদক ব্যবসায়ীরা বর্তমানে তাদের রুট পরিবর্তন করে।
এর আগে দুপুরে বঙ্গোপসাগরের গভীর সমুদ্র থেকে ৭ লাখ পিস ইয়াবাসহ ৭ জনকে আটক করে র্যাব-৭। এ সময় ইয়াবা বহনে ব্যবহৃত মাছ ধরার ১টি ট্রলার জব্দ করা হয়।
র্যাব-৭ অধিনায়ক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুপুরে অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রামের গভীর সমুদ্রে একটি মাছ ধরার ট্রলারকে ধাওয়া করে আটক করে। পরবর্তীতে আটক করা ট্রলার এমভি রিফাতে তল্লাসি করে পাটাতনের নিচ থেকে ইয়াবাসহ ৭ জনকে আটক করে। এদের মধ্যে ৪ জন মিয়ানমারের নাগরিক।
আটকরা হলেন টেকনাফের মো. ফারুক (২৯), বার্মা থেকে বাংলাদেশে আসা বর্তমানে টেশনাফের গোদারবিলের বাসিন্দা মো. নবী হোসেন (৩৮), বার্মা থেকে বাংলাদেশে আসা মো. ইসাক (৩০), বার্মা থেকে বাংলাদেশে আসা মো. শরিফ হোসেন (৩৭), বরগুনার মো. ফারুক (৩৮), কক্সবাজারের মো. সামছুল (১৯ ) এবং বার্মা থেকে আসা নুরুল আমিন (৩৯)।
উদ্ধার করা ইয়াবা ট্যাবলেটের আনুমানিক মূল্য ২৮ কোটি টাকা জানিয়েছেন র্যাব কর্মকর্তারা।
আটকদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা এ পর্যন্ত মোট তিন বারে ২ লাখ করে মোট ৬ লাখ ইয়াবা মিয়ানমার থেকে বরিশালে নিয়ে আসে।
এসএস/ এম/ এসজেড
মন্তব্য করুন