• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নর্থ সাউথের ৪ ট্রাস্টি যারা

আরটিভি নিউজ

  ২৩ মে ২০২২, ২৩:০৩
নর্থ সাউথের ৪ ট্রাস্টি যারা

৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চার সদস্যের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তাদেরকে একদিন করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের পক্ষ থেকে।

সোমবার (২৩ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েস দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিত এ নির্দেশ দেন।

সোমবার দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে তাদেরকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাদের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদকের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তাদের সাত কার্যদিবসের মধ্যে একদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নির্দেশ দেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবীরা কারাগারে প্রথম শ্রেণির ডিভিশন চেয়ে আবেদন করলে কারাবিধি অনুযায়ী তাদের ডিভিশন দেওয়ার জন্য কারাকর্তৃপক্ষে নির্দেশ দেন আদালত।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই চার ট্রাস্টি হলেন, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি বেনজীর আহমেদ, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি এম এ কাশেম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাজাহান। শাহ ফতেহুল্লাহ টেক্সটাইল মিলস্ লিমিটেড এবং জালাল আহমেদ স্পিনিং মিলস্ লিমিটেড এবং বেঙ্গল ট্রেডওয়েজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেহানা রহমান।আশালয় হাউজিং ও ডেভেলপারস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালী।

এর আগে, জামিন আবেদন সরাসরি খারিজ হওয়ার পর রোববার (২২ মে) রাতেই তাদেরকে হেফাজতে নিয়ে যায় শাহবাগ থানা পুলিশ।

মামলার বৃত্তান্তে জানা যায়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে গত ৫ মে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে পাশ কাটিয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের কয়েকজন সদস্যের অনুমোদন-সম্মতির মাধ্যমে ক্যাম্পাস উন্নয়নের নামে ৯০৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিমেল জমির দাম ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা বেশি দেখিয়ে তা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের টাকা আত্মসাতের হীন উদ্দেশ্যে কম দামে জমি কেনা সত্ত্বেও বেশি দাম দেখিয়ে তারা প্রথমে বিক্রেতার নামে টাকা প্রদান করেন। পরবর্তীতে বিক্রেতার নিকট থেকে নিজেদের লোকের নামে নগদ চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আবার নিজেদের নামে এফডিআর করে রাখেন এবং পরবর্তীতে নিজেরা উক্ত এফডিআরের অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।

‘অবৈধ ও অপরাধলব্ধ আয়ের অবস্থান গোপনের জন্য উক্ত অর্থ হস্তান্তর ও স্থানান্তর মাধ্যমে অর্থ পাচারের অপরাধও করেন।’

মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯-১০৯-৪২০-১৬১-১৬৫ক ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ অনুযায়ী নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ বোর্ড অব ট্রাস্টিজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেমোরেন্ডাম অব অ্যাসোসিয়েশন অ্যান্ড আর্টিকেলস (রুলস অ্যান্ড রেগুলেশনস) অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় একটি দাতব্য, কল্যাণমুখী, অবাণিজ্যিক ও অলাভজনক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

মন্তব্য করুন

daraz
  • অপরাধ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
স্বামীকে দুলাভাই পরিচয় দেওয়া সেই মিম রিমান্ডে
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক এমপি তানভীর ইমামের বিরুদ্ধে মামলা
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট জমা
বউয়ের সঙ্গে জোভানের ভিডিও ভাইরাল
X
Fresh