• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

প্রেমিককে হত্যার অভিযোগ প্রেমিকার পরিবারের বিরুদ্ধে

আবু বক্কর সিদ্দিক, গাইবান্ধা

  ০২ জুন ২০১৭, ২৩:৫৫

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে পালিয়ে বিয়ে করায় পরিকল্পিতভাবে প্রেমিককে হত্যার অভিযোগ ওঠেছে প্রেমিকার পরিবারের বিরুদ্ধে। এদিকে হত্যা মামলা না নেয়া পর্যন্ত মরদেহ গ্রহণ করবে না বলে জানিয়েছে নিহতের পরিবার।

শুক্রবার এ ঘটনায় প্রেমিকার বাবা সুরেশ চন্দ্র দাশের বসতবাড়ি ও দোকান ভাঙচুরসহ অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা।

নিহত ওই প্রেমিকের নাম রিপন চন্দ্র দাশ(২২)। তিনি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামের জেলেপাড়ার বাবলু চন্দ্র দাশের ছেলে।

স্থানীয় রওশন আলম ও অন্যান্যরা জানান, অনেক দিন ধরে প্রতিবেশী সুরেশের মেয়ের(১৫) সঙ্গে প্রেম চলছিল রিপনের। টের পেয়ে মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দেয়ার প্রস্তুতি নেন সুরেশ।

তারা জানান, বিষয়টি জানতে পেরে গেলো ২৯ মে কাউকে না জানিয়ে কাহালু পৌরশহরের কাইট পাড়ার গঙ্গারাম দাশের বাড়িতে এফিডেভিট মূলে বিয়ে করেন রিপন ও সুরেশের মেয়ে।

এ ঘটনায় সুরেশ সুন্দরগঞ্জ থানায় রিপনের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করেন উল্লেখ করে তারা জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রাজু মিয়া ব্যাপক তল্লাশি চালিয়ে কাহালু থানা পুলিশের সহায়তায় রিপনকে গ্রেপ্তার সুরেশের মেয়েকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন।

তারা জানান, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মাইক্রোবাস যোগে কাহালু থেকে সুন্দরগঞ্জে আনার সময় জেলার পলাশবাড়ি উপজেলার গোপীনাথপুরের জুনদহবাজারে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় গুরুতর আহত হওয়া রিপনকে হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে তিনি মারা গেছেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

রিপনকে বহনকারী ওই মাইক্রোবাসে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ সুরেশ ও তার স্বজনরা ছিলেন। রিপনের পরিবারের অভিযোগ পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা চলছে বলেও তারা জানান।

তবে অপহরণ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রাজু মিয়াকে মোবাইলফোনে পাওয়া যায়নি।

সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আতিয়ার রহমান বলেন, নবম শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণের দায়ে রিপনের বিরুদ্ধে সুরেশ মামলা করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে কাহালু থেকে মেয়েসহ রিপনকে উদ্ধারের পর মাইক্রোবাসে থানায় আনা হচ্ছিল।

তিনি বলেন, পলাশবাড়ির গোপীনাথপুর জুনদহবাজারে প্রসাব করার কথা বলে রিপন মাইক্রোবাস থেকে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় একটি দ্রুতগামী ট্রাকের চাপায় তিনি গুরুতর আহত হন। রিপনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার রিপনকে মৃত ঘোষণা করেন।

শুক্রবার রিপনের পরিবারকে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবু সোলায়মান সরকার, ধোপাডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান রাজু, থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আতিয়ার রহমান মরদেহ নেয়ার জন্য বলেন।

কিন্তু পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা না হওয়া পর্যন্ত মরদেহ নেয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে।

কে/সি

মন্তব্য করুন

daraz
  • অপরাধ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh