• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

অন্য পেশার আড়ালে ‘দলবেঁধে’ ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৫

আরটিভি নিউজ

  ২২ নভেম্বর ২০২১, ১৮:৫০
Under the guise of other professions, 'robbery', arrest 5
ডাকাত দলের গ্রেপ্তারকৃত ৫ সদস্য

ভিন্ন ভিন্ন পেশার আড়ালে ‘দলবেঁধে’ ডাকাতি করা ছিল তাদের নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। এমনই একটি চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। বগুড়ার গাবতলীতে একটি বাজারে ডাকাতির ১৫ দিন পর আশুলিয়া থেকে ‘অস্ত্র’ ও ‘লুট করা’ মালামালসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. দেলোয়ার হোসেন (৩৫), মো. আব্দুল হালিম মিয়া জুয়েল (২৮), আলী হোসেন (৫৬), মো. সুমন মুন্সি (২০) ও মো. হুমায়ুন কবির (৩৫)।

র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-১২ সদস্যরা ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে গতকাল রোববার (২১ নভেম্বর) রাতে তাদের গ্রেপ্তার করে।

সোমবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চক্রটি গত ৬ নভেম্বর রাতে বগুড়া জেলার গাবতলী থানার দুর্গাহাটা বাজারে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত।

‘সংঘবদ্ধ ডাকাত দলটি ট্রাকযোগে মুন্সি সুপার মার্কেট, পুকুর পাড় মার্কেট ও মসজিদ মার্কেটে অস্ত্রের মুখে নৈশ প্রহরীদের হাত, পা ও মুখ বেঁধে তালা কেটে নয়টি দোকান লুট করে।’

সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, ডাকাতির ঘটনায় সম্পৃক্ততার বিষয়টি তারা স্বীকার করেছে।

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন পেশার আড়ালে ডাকাতি তাদের মূল পেশা। তাদের স্থায়ী নিবাস বিভিন্ন জেলায় হলেও তারা সাভার এবং তার আশেপাশের এলাকায় বসবাস করে এবং সংঘবদ্ধ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। ১২ থেকে ১৫ জনের সংঘবদ্ধ দলটি ট্রাকে করে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ডাকাতি করে। এ কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র এবং তালা ও গ্রিল কাটার বিভিন্ন যন্ত্র তারা ট্রাকের সামনের কেবিনে লুকিয়ে রাখে।’

তাদের কাছ থেকে ১টি পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি, ১টি বোল্ট কাটার, ২টি রাম দা, ৩টি শাবল, ২টি ছুরি, ১টি কাঁচি, ১০টি লাঠি, ১টি হাতুড়ি ও ১টি টর্চ লাইট এবং একটি ট্রাক উদ্ধার করা হয়।

এ সময় স্বর্ণের ৩টি রুলি বালা, ৩টি নাকফুল, ১৫টি রুপার নূপুর, ২টি পিতলের বেঙ্গল চুড়ি, ইমিটেশনের ৩টি গলার হার, ৪টি গলার চেইন, তিন জোড়া কানের দুল ও আংটি উদ্ধার করা হয়। এছাড়া বাজার থেকে লুট করা মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

‘বগুড়ার গাবতলীতে ডাকাতির ঘটনায় বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদের কথা তুলে ধরে র‍্যাব কর্মকর্তা জানান, এই দলের সরদার দেলোয়ার। তার নির্দেশে হালিম ও সুমন ২৬ ও ২৭ অক্টোবর দুর্গাহাটা বাজারে যান।’

‘এ সময় তারা মূল্যবান সামগ্রীসহ দোকান, রাত্রিকালে নৈশ প্রহরীর সংখ্যা ও অবস্থানের তথ্য সংগ্রহ করে। প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ শেষে দেলোয়ার এবং কবির ডাকাতির বিস্তারিত পরিকল্পনা করে। তারা ডাকাত দলের অন্য সদস্যদের একত্রিত করে এবং পরিকল্পনা মোতাবেক ডাকাত দলের ৯ জন ঘটনার আগের দিন বিকালে সাভারের নবীনগরে একত্রিত হয়ে বগুড়ার গাবতলীর উদ্দেশে ট্রাকে করে যায়।’

‘যাত্রাপথে সিরাজগঞ্জ এবং বগুড়া থেকে তাদের সঙ্গে আরও কয়েকজন যুক্ত হয় জানিয়ে কমান্ডার মঈন বলেন, ‘মোট ১২ জনের ডাকাত দলটি দুটি ভাগ হয়ে গাবতলীর দুর্গাহাটা বাজারে ডাকাতি করে।’

জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতির নেতৃত্ব দেওয়া দেলোয়ার গত ৬ থেকে ৭ বছর যাবত এ কাজে জড়িত থাকার কথা র‌্যাবের কাছে স্বীকার করেছে। এছাড়া গ্রেপ্তার আলী হোসেন, আব্দুল হালিম ও সুমন মুন্সি দুর্গাহাটা বাজারে ডাকাতিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়।

কেএফ/এসকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • অপরাধ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
জাল টাকা তৈরি চক্রের মূলহোতাসহ গ্রেপ্তার ৩
পাহাড়ে রাতে র‌্যাব-পুলিশের অভিযান, ১০ অপহৃত উদ্ধার
সেই ইজিবাইকচালকের পাশে দাঁড়াল র‌্যাব
গৃহবধূ হত্যা মামলার ৩ পরিকল্পনাকারী ঢাকায় গ্রেপ্তার
X
Fresh