• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

পুলিশ হেফাজতে আসামির মৃত্যু, ২ কর্মকর্তা বরখাস্ত

আরটিভ অনলাইন রিপোর্ট

  ২২ মে ২০১৭, ০৯:৫৬

সিলেটের জৈন্তাপুর থানা পুলিশের হেফাজতে আসামি নজরুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনায় দুই কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। জানালেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা।

তিনি বলেন, নজরুল ইসলাম বাবু যে দিন রাতে আত্মহত্যা করে তখন থানার ডিউটি অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন বরখাস্ত হওয়া দুই কর্মকর্তা।

তারা হলেন- জৈন্তাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জয়নাল আবেদীন ও কনস্টেবল আখতার হোসেন।

সুজ্ঞান চাকমা জানান, তদন্তে দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

এর আগে শনিবার জৈন্তাপুরে থানাহাজতে নজরুল ইসলামের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সফিউল কবিরের অপসারণ দাবি করে সড়ক অবরোধ করেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নেতারা।

আত্মহত্যার ঘটনায় শনিবার দুপুরে দায়িত্বে অবহেলার কারণে ২ পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে। জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আনোয়ার জাহিদ ২ পুলিশ সদস্যের সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে শুক্রবার ভোরে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নজরুল ইসলাম বাবু থানাহাজতেই মারা যান। পুলিশের দাবি তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে পরিবারের দাবি নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।

নিহত নজরুল ইসলাম বাবু জৈন্তাপুর উপজেলার কহাইগড় গ্রামের মৃত মুক্তিযোদ্ধা আবদুর জলিলের ছেলে। বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে বটেশ্বর এলাকা থেকে বাবুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শুক্রবার ভোরে থানাহাজতের ভেতর তার মরদেহ পাওয়া যায়।

সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা জানান, স্ত্রীর দায়ের করা মামলার আসামি ছিল বাবু। তাকে গ্রেপ্তার করে থানাহাজতে রাখা হয়েছিল। শুক্রবার ভোর পৌনে ৫টার দিকে সে থানাহাজতের ভেতরে আত্মহত্যা করেন। তাকে কোনোরকম নির্যাতন করা হয়নি। আত্মহত্যার দৃশ্য ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায়ও রেকর্ড হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

বাবুর চাচা মদরিছ আলী ও বোন জামাই লুদু মিয়ার দাবি বাবুকে নির্যাতন করে মেরে ফেলে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হতে পারে। পুলিশ প্রহরায় থাকা থানাহাজতের ভেতর আসামি আত্মহত্যা করে কীভাবে? এমন প্রশ্নও তুলেন তারা।

গেলো বছরের ১৬ নভেম্বর জৈন্তাপুরের ঘিলাতৈল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা নাসরিন ফাতেমাকে বিয়ে করেন নজরুল ইসলাম বাবু। বিয়ের পর তাদের মধ্যে সম্পর্ক ভালো ছিল না। একপর্যায়ে নাসরিন ফাতেমা তার বাপের বাগি চলে যান এবং নির্যাতনের অভিযোগ এনে বাবুর বিরুদ্ধে মামলা করেন।

এইচটি/সি

মন্তব্য করুন

daraz
  • অপরাধ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh