লেখাপড়ার জন্য মায়ের বকা, কেরোসিনের আগুনে নিজেই শেষ ঈশিতা!
লেখাপড়া নিয়ে মা বকা দেওয়ায় অভিমান করে ঈশিতা ইয়াসমিন সিমি (১৯) নামের এক এইচএসসি পরীক্ষার্থী নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। পরিস্থিতিতে তিনি দগ্ধ হলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানেই ঘটনার ৪ দিনের মাথায় আজ মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) মারা যান তিনি।
খোজঁ নিয়ে জানা গেছে, ঈশিতা রাজধানীর আজিমপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী।
পরিবার বলছে, গত শনিবার (০৯ অক্টোবর) লেখাপড়া নিয়ে মা বকা দেওয়ার পরে অভিমান করে ঈশিতা নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন। এরপর তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এ ঘটনায় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল জানান, ঈশিতার শরীরের ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিলো। তিনি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন।
ঈশিতার চাচা মিজানুর রহমান জানান, গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুলের কোয়ার্টারে ঈশিতাদের বাসা। তার বাবা মো. ইদ্রিস ওই স্কুলেই চাকরি করেন। শনিবার রাতে লেখাপড়াসংক্রান্ত বিষয়ে তার মা বকা দেওয়ায় অভিমান করে ঈশিতা নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। ওই রাতেই তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছিলো।
ঈশিতার বান্ধবী মারজান মেহজাবিন বলেন, ‘যতটুকু জানতে পেরেছি, পরিবার ও লেখাপড়া নিয়ে হতাশা ছিল তার মধ্যে। এ কারণে হয়তো এ ঘটনা ঘটতে পারে।’
কেএফ
মন্তব্য করুন