• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

প্রিয়শপে কী হচ্ছে?

আরটিভি নিউজ

  ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৮:২১
প্রিয়শপ

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান প্রিয়শপ.কম (priyoshop.com) এর বিরুদ্ধে পণ্য সরবরাহ না করার অসংখ্য অভিযোগ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) দপ্তরে জমা হয়েছে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানায়, দেশের বিভিন্ন ই-কমার্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ছে। প্রিয়শপের বিরুদ্ধেও ভোক্তারা অভিযোগ দিয়েছেন। অধিকাংশ অভিযোগই নির্ধারিত সময়ে পণ্য না দেয়া এবং পণ্যের জন্য পরিশোধ করা টাকা ফেরত না দেয়া। তবে প্রিয়শপ ডটকম গ্রাহকদের সবগুলো অভিযোগ দ্রুত সময়েই সমাধান করেছে বলে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্রাহক ভোক্তা অধিকারে প্রিয়শপের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন। সেখানে গ্রাহক উল্লেখ করেছেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মোবাইল অর্ডার করেন। তাকে এক মাসের মধ্যে মোবাইল ফোন দেয়ার কথা থাকলেও সাত মাসেও পাননি। তারা দেব-দিচ্ছি বলে আমাকে ঘোরাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মাহবুব আলম আমাকে বেশ কয়েকবার পণ্য দেয়ার আশ্বাস দিলেও তা দেননি। মূল টাকা ফেরত চাইলেও তারা ফেরত দেয়নি। বাধ্য হয়ে আর্থিক ক্ষতিপূরণের আশায় মামলাটি করেছি।

সাঈদুর রহমান নামের আরেক গ্রাহক (ছদ্মনাম) অভিযোগ করেন, চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল প্রিয়শপ থেকে অগ্রিম টাকা পরিশোধের মাধ্যমে কিছু পণ্য অর্ডার করি। সাত থেকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে দেয়ার থাকলেও চার মাস পর আগস্টেও পণ্য না পেয়ে প্রিয়শপের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারা সমাধান দিতে না পারায় পণ্য কেনার প্রমাণপত্রসহ ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট দেই।

রুনা আক্তার নামের এক ভুক্তভোগী জানান, প্রিয়শপ থেকে তিনি ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর একটি ভাউচার কেনেন, যা এক মাস পর অ্যাক্টিভ হওয়ার কথা ছিল। তবে মাসখানেক পরও প্রতিষ্ঠানটি তার কার্ড চালু করেনি। বিষয়টি নিয়ে তিনি কমপক্ষে ৫০-৬০ বার ফোন করেন। অবশেষে জুলাই মাসে কার্ড চালু করে তার। সেই কার্ডের সঙ্গে তিনি আরও এক হাজার ৩০০ টাকা দিয়ে কয়েকটি পণ্য অর্ডার করেন। প্রতিষ্ঠানটি তাকে ৬০০ টাকার পণ্য দেয়। বাকি পণ্য দেয়নি। বারবার কল করলেও প্রিয়শপ বলেছে, লকডাউনের পর দেবে। কিন্তু এখনও দেয়নি।

গ্রাহকদের অভিযোগের বিষয়ে প্রিয়শপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আশিকুল আলম খান দেশের একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালকে বলেন, নয় থেকে ১০ মাসে পণ্য না পাওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। আপনি অফিসে আসেন। আমাদের ডেলিভারির প্রক্রিয়াটি দেখলেই সব স্পষ্ট হয়ে যাবেন। গ্রাহকদের যেকোনো অভিযোগে আমরা নিয়মিত রেসপন্স করি। আমাদের এখানে যারা অর্ডার প্লেস করেন, তারা যদি পণ্য না পান, তাহলে অর্থ অটোমেটিক রিফান্ড হয়ে যায়। গোটা প্রক্রিয়াটি অটোমেটিক, মাসের পর মাস আটকে থাকার সুযোগ নেই।

এদিকে, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর অভিভাবক সংগঠন ই-ক্যাবের কাছেও প্রিয়শপের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে চিঠিও দিয়েছে ই-ক্যাব।

ই-ক্যাবের জেনারেল ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গ্রাহকদের অভিযোগের ভিত্তিতে ১৬টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এই তালিকায় প্রিয়শপের নাম ছিল। ই-ক্যাবে ও ভোক্তা অধিকারে আসা অভিযোগ সমাধানের জন্য তাদের চিঠি দেয়া হয়েছে। ডিজিটাল কমার্স নির্দেশিকার নিয়ম হালনাগাদ হয়েছে।

মন্তব্য করুন

daraz
  • অপরাধ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ইন্টারনেট গ্রাহক কমেছে ৩৫ লাখ
প্রেমের ফাঁদে ফেলে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে প্রতারণা
ইঁদুর মারার ফাঁদে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত ‌২
ইঁদুর মারার বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণ গেল ২ কৃষকের
X
Fresh