• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ভুঁইফোড় মনিরের কাণ্ড: দর্জির দোকানের কাটিং মাস্টার থেকে বড় নেতা!

আরটিভি নিউজ

  ০৪ আগস্ট ২০২১, ১২:০৭
Bhuiphor Monir's case: Big leader from the cutting master of the tailor's shop!
দর্জি মনির।। ফাইল ছবি

‘জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদ’ নামের একটি ভুঁইফোড় সংগঠন গড়ে তুলে সংগঠনের সভাপতি দাবিদার মনির খান ওরফে দর্জি মনিরের বিষয়ে আরও তথ্য পাওয়া গেছে। বিতর্কিত ব্যবসায়ী নেতা হেলেনা জাহাঙ্গীরের পর এই ভুঁইফোঁড় নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই মনির একসময় দর্জির দোকানে কাটিং মাস্টারের কাজ করতেন। সেখান থেকে অল্পদিনের ব্যবধানে ভুঁইফোড় সংগঠন গড়ে তুলে বড় নেতা বনে যান তিনি।

দর্জি মনিরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার অভিযোগ ও বাদীর অভিযোগে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে। মামলায় মনির খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, তিনি একেক সময় একেক রাজনৈতিক পদবি ব্যবহার করেন। নিজেকে বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দাবি করেন। দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ছবির সঙ্গে নিজের ছবি এডিট করে বসিয়েছেন আসামি মনির।

মামলার বাদী ইসমাইল হোসেন জানান, দর্জি মনিরকে তিনি ১৫ বছর ধরে চেনেন। একসময় মনির কামরাঙ্গীরচর এলাকার একটি দর্জির দোকানে কাটিং মাস্টার হিসেবে কাজ করতেন। পরে তিনি এলিফ্যান্ট রোডের একটি দোকানে চাকরি নেন। পরে মনির নিজেকে আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে পরিচয় দিতে শুরু করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, মনিরের সহযোগীরা ঢাকা মহানগর ও বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় কমিটি দেওয়ার নাম করে অনেকের কাছ থেকে টাকাও নিচ্ছেন। গত ৩০ জুলাই মনির খান মামলার বাদী ইসমাইল হোসেনের কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদাও দাবি করেন।

মনির জমির দালালি এবং তদবির-বাণিজ্য করে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন বলেও অভিযোগ আছে। তিনি ২০১৮ সালের নির্বাচনে কেরানীগঞ্জ ও সাভারের অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত ঢাকা-২ আসনের সংসদ সদস্য হওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্রও সংগ্রহ করেছিলেন। তবে তিনি মনোনয়ন পাননি।

এর আগে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ নামের একটি ‘ভূইফোঁড়’ সংগঠনে হেলেনা জাহাঙ্গীরের সভাপতি হওয়ার খবর চাউর হলে সম্প্রতি তাকে ২ কমিটি থেকেই বাদ দেয় আওয়ামী লীগ।

জয়যাত্রা টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও হেলেনা জাহাঙ্গীর আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য হয়েছিলেন গত ১৭ জানুয়ারি। তার আগে ২০২০ সালের ডিসেম্বরের দিকে তিনি কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হন। আবদুল মতিন খসরু মারা গেলে ওই আসনে মনোনয়নের জন্য দলীয় ফরম সংগ্রহ করেছিলেন। তবে মনোনয়ন পাননি।

কেএফ

মন্তব্য করুন

daraz
  • অপরাধ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
নিপুণের জন্য বড় নেতার অনুরোধে শিল্পী সমিতির নির্বাচন করেন ইলিয়াস কাঞ্চন
X
Fresh