আমার মৃত্যুর জন্য এই ছেলে ও সেলিনা দায়ী থাকবে
ফেসবুকে আত্মহত্যার আবেগঘন দীর্ঘ একটি স্ট্যাটাস দেয় রাশেদুজ্জামান । এরপর থেকেই নিখোঁজ রয়েছেন তিনি। কেন তিনি আত্মহত্যা করতে চান সে ব্যাপারে সোমবার সন্ধ্যায় নিখোঁজ যুবক তার ফেসবুকে দীর্ঘ একটি স্ট্যাটাস দেন।
স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন তার আত্মহত্যার জন্য সেলিনা নামে এক নারী ও তার ভাই দায়ী থাকবে।
নিখোঁজ যুবকের পরিবার সারারাত খোঁজাখুঁজি করে কোথাও না পেয়ে মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) দুপুরে হাজীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে।
নিখোঁজ যুবক হাজীগঞ্জ উপজেলার ৬নং বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের আড়ুলী বেপারীবাড়ির মো. হুমায়ন আহমেদের ছেলে মো. রাশেদুজ্জামান (২৫)। তিনি হাজীগঞ্জ মডেল সরকারি কলেজে ডিগ্রি শেষ বর্ষের ছাত্র।
রাশেদুজ্জামান তার ফেসবুকের স্ট্যাটাসটিতে উল্লেখ করেন- মানুষ কেন সুন্দর জীবন থাকতে আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেয়। আজ নিজ থেকে শিক্ষা নিলাম। আমরা হয়তো আত্মহত্যাকারীর বাহির দেখে বলি, সে আত্মহত্যা করল! কিন্তু ভিতরটা কেউ দেখে না। নিখোঁজ যুবক রাশেদুজ্জামান তার স্ট্যাটাসের নিচের অংশে লেখেন- এই পৃথিবী আমার মতো নিঃস্বার্থ রাশেদের নয়। এই পৃথিবী তাদের মতো মিথ্যাবাদী, প্রতারক, ঠকবাজদের জন্য। প্রতিটি মুহূর্তে নিজের কাছে নিজেকে ঘৃণিত মনে হচ্ছে, সবাই ভালো থাকুন। সবার কাছে আমি ক্ষমা প্রার্থী। আমার মৃত্যুর জন্য এই ছেলে (স্ট্যাটাসে একটি যুবকের ছবি দেওয়া আছে) এবং তার বোন সেলিনা দায়ী থাকবে।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) হারুনুর রশীদ গণমাধ্যমকে বলেন, নিখোঁজ যুবকের বাবা হাজীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। যুবককে খুঁজে বের করতে পুলিশ কাজ করছে।
রাশেদুজ্জামানের বন্ধু আল ফোরকান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, রাশেদ সোমবার সন্ধ্যা থেকেই নিখোঁজ। রাতে তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেখতে পাই। স্ট্যাটাসে সে আত্মহত্যা করবে এবং আত্মহত্যার কারণও লিখে রেখেছে। আমরা সারারাত বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করি কিন্তু এখনো রাশেদকে কোথাও খুঁজে পাইনি।
এমএন
মন্তব্য করুন