সন্তানের সামনে বাবা খুনের মামলায় ‘ব্লেড বাবু’ গ্রেপ্তার
দশ একর জমি দখল করতেই লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ও তরিকত ফেডারেশনের সাবেক মহাসচিব এম এ আউয়ালের নির্দেশেই সাহিনুদ্দিনকে তার সন্তানের সামনেই কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় মামলার আরেক আসামি মঞ্জুরুল হাসান বাবু (২২) ওরফে ইয়াবা বাবু ওরফে ব্লেড বাবুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার (২৪ জুলাই) রাত ৯টার দিকে মিরপুর ১২ নম্বর (পল্লবী পুরান থানা) লাল মাঠ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পল্লবী থানা উপ-পরিদর্শক (এসআই) সজিব খান বলেন, পল্লবী পুরান থানা সংলগ্ন লাল মাঠ থেকে আসামি মঞ্জুরুল ইসলাম বাবু ওরফে ইয়াবা বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি অসংলগ্ন কথাবার্তা বলেন। পরে থানায় নিয়ে এসে মামলার কাগজপত্র দেখে বুঝা যায় বাবু সাহিনুদ্দিন হত্যা মামলার ২০ নম্বর আসামি।
পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম বলেন, সাহিনুদ্দিন হত্যা মামলার আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসআই সজিব খান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছেন। আসামি বাবু ওরফে ইয়াবা বাবুকে পল্লবী থানার মামলায় আজ রোববার (২৫ জুলাই) আদালতে হাজির করা হবে।
এর আগে রোববার (১৬ মে) পল্লবীতে আধিপত্য বিস্তার ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সন্তানের সামনেই সাহিনুদ্দিন (৩৪) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওইদিন বিকেলে ৭ বছর বয়সী শিশু সন্তান মাশরাফিকে নিয়ে মোটরসাইকেলে ঘুরছিলেন সাহিনুদ্দিন। এমন সময় একজনের ফোনকল পেয়ে পল্লবীর ৩১ নম্বর রোডে দেখা করতে যায়। সেখানে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা শিশু মাশরাফিকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে তার বাবা সাহিনুদ্দিনকে ৬-৭ জন এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকেন। ৫/৬ মিনিটের মধ্যে মৃত্যু নিশ্চিত করার পর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান দুর্বৃত্তরা। সাহিনুদ্দিনের শরীরের মাথা, গলাসহ ওপরের অংশ ধারালো অস্ত্রের কোপের অসংখ্য জখম পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নিহত সাহিনুলের মা আকলিমা বেগম বাদী হয়ে নামধারী ২০ জনকে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ১৪/১৫ জনকে আসামি করে পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ তদন্ত করলেও পরে এর তদন্তভার দেওয়া হয় গোয়েন্দা (ডিবি) মিরপুর বিভাগকে।
কেএফ
মন্তব্য করুন