জেল থেকে বেরিয়ে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে রফিক!

দুই দফায় ২২ বছর কারাভোগ করার পর জেল থেকে বেরিয়ে আবারও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে রফিকুল ইসলাম ওরফে রতন। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড যেনো তার রক্তে মিশে গিয়েছিল। যে কারণে সে আবারও জড়িয়ে পড়েন ‘গ্যাং’ কালচারে। গ্রুপটির নেতৃত্বে ছিলে এই রফিকুল। জেল থেকে বের হয়ে একজনের পক্ষ নিয়ে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবে জমি দখল করতে গিয়ে গুলি চালায় সন্ত্রাসী রফিক। সেই ঘটনায় তাকে আবারও পিস্তলসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, গত ৪ জুন হাজারীবাগ থানার ৮৯ গজমহল শিকারিটোলা এলাকায় জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে রফিকসহ ৮-১০ জন সন্ত্রাসী বিরোধপূর্ণ জমিতে যায়। সেখানে দেয়াল নির্মাণ করাকে কেন্দ্র করে জমির মালিক মামুনকে ৩ রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় হাজারীবাগ থানায় একটি মামলা হয়।

হাফিজ আক্তার বলেন, মামলাটি ডিবির রমনা জোনাল টিমের হাতে আসে। গোয়েন্দারা তদন্তে নেমে জানতে পারেন সন্ত্রাসী রফিক ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবে ওই জমিতে যায় এবং গুলি চালিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এরপর গত ২৩ জুন রাতে সাভার ও হাজারীবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে রফিকুল ইসলাম ওরফে রতন এবং সহযোগী আরমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি রিভলবার, ২ রাউন্ড গুলি ও ১টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রফিক জানায়, ওই ঘটনায় তারা ভাড়ায় গিয়েছিল এবং অস্ত্র ব্যবহার করেছিল। তার বাহিনীসহ আবুল হাশেম নামে এক ব্যক্তির ভাড়াটে সন্ত্রাসী হিসেবে ওই জমিতে গিয়ে গুলি চালিয়েছে তারা।

ডিবির কর্মকর্তা বলেন, এর আগে একটি হত্যা মামলায় ২২ বছর কারাভোগ করে ২০১৭ সালে জেল থেকে মুক্তি পায়। এরপর ২০১৯ সালে আরও একটি অস্ত্র মামলায় এক বছর জেল খেটে ২০২০ সালে বের হয়। জেল থেকে বেরিয়ে সন্ত্রাসী রফিক ভালো না হয়ে আবারও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শুরু করে। এবারও অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, এর পেছনে আরও যারা জড়িত তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। আপনারা জানেন, জমিজমা সংক্রান্ত কোথাও গোলাগুলি হলে ডিএমপির পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যেখানেই অস্ত্র ব্যবহার হবে সেখানেই আমরা কাজ করব। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এর আগে পল্লবীর ঘটনাতেও আমরা কাউকে ছাড় দেইনি।

কেএফ/পি