• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সরকারি কাজে বাধা দেয়ায় আ.লীগের ৭ নেতার নামে মামলা

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ১৪ মে ২০২১, ২২:৫২
সরকারি কাজে বাধা দেয়ায় আওয়ামী লীগের ৭ নেতার নামে মামলা

করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের ঘোষিত লকডাউনের মধ্যে আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে স্পিডবোটে যাত্রী পরিবহন ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে শিবালয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুসসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও শ্রমিক লীগের ৭ জন নেতার নামে মামলা করেছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটিএ’র বন্দর কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ বাদি হয়ে শিবালয় থানায় এই মামলাটি দায়ের করেছেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আহসান মিঠু, সাংগঠনিক সম্পাদক নকুল চন্দ্র শীল, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নূরে আলম সিদ্দিকী, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, শিবালয় সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম এবং যুবলীগের কর্মী মো. জিন্নাহ।

মামলার এজাহার এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে স্পিডবোট ও লঞ্চ চলাচল বন্ধে সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বুধবার (১২ মে) কতিপয় ব্যক্তি আরিচা-কাজীরহাট নৌপথে স্পিডবোট ও লঞ্চে যাত্রী পরিবহন করেন। খবর পেয়ে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিআইডব্লিউটিএ’র আরিচা কার্যালয়ের বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা মাসুদ পারভেজ তার সহকর্মীদের নিয়ে আরিচা ঘাটে গিয়ে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ করে দেন। এরপর তিনি সেখানে অবস্থান করলে তার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কুদ্দুস এবং স্পিডবোট চালানোর নির্দেশ দেন। এরপর আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল কুদ্দুসের নির্দেশে অন্য নেতা-কর্মীরা সরকারি কাজে বাধা দিতে থাকে এবং বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন এবং ধাক্কা মেরে লাঞ্ছিত করেন।

এ বিষয়ে মামলার বাদি মাসুদ পারভেজ বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারের ঘোষিত লকডাউন অমান্য করে অবৈধভাবে স্পিডবোট ও লঞ্চে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছিল। পরে নৌযান চলাচল বন্ধ করতে বললে- আমাকে সহ সহকর্মীদের ওপর হামলা ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টি করা হয়। এ ঘটনায় ৭ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করা হয়েছে।

জানা গেছে দীর্ঘ ৬ বছর যাবত আওয়ামীলীগের এই নেতারা অবৈধভাবে এই স্পিডবোট ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লিখিত আপত্তি জানিয়েও কোন আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়নি। ইতিপূর্বে বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষ থেকেও একাধিকবার আপত্তি জানিয়েও কোন ফল হয়নি।

অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কুদ্দুস বলেন, বুধবার সকালে বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তা মাসুদ পারভেজ অনুমতি দিলে তারা পাঁচ-ছয়টি স্পিডবোট দিয়ে যাত্রী পারাপার করতে থাকেন। পরে দুপরের দিকে ওই কর্মকর্তা তার লোকজন নিয়ে ঘাটে এসে নিষেধ করলে তাদের সঙ্গে উচ্চস্বরে কথা বলেন। এছাড়া আর ঘটনা ঘটেনি।

শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সরকারি কর্তব্য কাজে বাধা এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগে বিআইডব্লিউটিএ’র একজন কর্মকর্তা বাদি হয়ে মামলা করেছেন। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এফএ

মন্তব্য করুন

daraz
  • অপরাধ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh