হেফাজতের ২ নেতার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হেফাজতে ইসলামের ২ নেতার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। নবীনগর উপজেলা হেফাজতে ইসলামের সহসভাপতি মাওলানা মেহেদী হাসান ও সহ-সাধারণ সম্পাদক মুফতি আমজাদ হোসাইন আশরাফীর বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের হয়।
মঙ্গলবার (৪ মে) দিনগত রাত সোয়া ১১টার দিকে মামলাটি নথিভুক্ত করা হয় বলে জানা গেছে। এ মামলায় মেহেদী ও আমজাদসহ ৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। অপর আসামি হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের কে. দাস মোড়ের বাসিন্দা সানাউল হক চৌধুরী (৫৫)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ শাহজাহান জানান, ছাত্রলীগ সভাপতির দেওয়া এজাহারটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার (৩ মে) রাতে সদর মডেল থানায় মামলার এজাহারটি জমা দেন জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল।
এজাহারে বলা হয়, আসামিরা ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংগঠিত হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের প্রত্যক্ষ মদদদাতা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর মানহানি এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং আইনশৃঙ্খলা অবনতির জন্য মাওলানা মেহেদী হাসান তার ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট দেন। মেহেদী তার পোস্টে মোকতাদির চৌধুরীকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসায় হামলাকারী উল্লেখ করে ফাঁসি দাবি করেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটানোর অভিপ্রায়ে বাকি দুই আসামি মেহেদীর ওই পোস্ট প্রচার করেন।
গত শনিবার (১ মে) সন্ধ্যায় হেফাজতে ইসলামের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মুফতি মুবারক উল্লাহর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার জন্য সদর মডেল থানায় এজাহার দেন সংসদ সদস্য র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
হেফাজতের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫০ জনকে আসামি করা হয় এই এজাহারে। তবে এজাহারটি মামলা হিসেবে এখনো নথিভুক্ত হয়নি। এজাহারে উল্লেখিত ফেসবুক পেজ ও আইডির লিংকগুলো পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছে চিঠি দিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশ।
কেএফ/পি
মন্তব্য করুন