• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

‘খুন করে লাশ গুম’ করার হুমকিতে মুনিয়ার বোনের জিডি

আরটিভি নিউজ

  ০২ মে ২০২১, ০৮:৩৬
Munia's sister GD threatens to 'kill and disappear'
ফাইল ছবি

সাম্প্রতিক চাঞ্চল্যকর ঘটনা রাজধানীর গুলশানে অভিজাত ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার মোসারাত জাহান মুনিয়ার মরদেহ উদ্ধার। যে ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে রাজধানীর গুলশান থানায় মামলা করেছিলেন মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান সনিয়া। ওই মামলায় আসামি করা হয় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরকে। এবার মুনিয়ার বড় বোন খোদ নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরির আবেদন করেছেন।

শনিবার (১ মে) সন্ধ্যায় কুমিল্লার কোতোয়ালি থানায় করা সাধারণ ডায়েরিতে (জিডি) তিনি উল্লেখ করেন, মামলা তুলে নিতে তাকে কয়েকটি মোবাইল নম্বর থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

কোতোয়ালি থানার ওসি আনোয়ারুল হক বলেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখতে একজন পরিদর্শককে (অপারেশন) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তের পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাধারণ ডায়েরিতে বলা হয়েছে, মামলা পর বিবাদি পক্ষের কিছু ব্যক্তি তাকে (বাদি) ও পরিবারের সদস্যদের মামলা তুলে নিতে এবং সমঝোতায় আসতে চাপ দিচ্ছে। মামলা যদি তুলে নেয়া না হয় তবে টাকার বিনিময়ে তাকে অথবা তার স্বামীসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের যেকোন ভাবে বিপদে ফেলা হবে। দরকার হলে যেকোন অঘটন ঘটিয়ে ‘খুন করে লাশ গুম’ করে দেয়া হবে।

সাধারণ ডায়েরিতে আরও বলা হয়, মামলা প্রত্যাহার করা না হলে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও নাজেহাল করার হুকমিও দিয়েছে বিবাদি পক্ষ। হুমকিদাতারা যেকোন সময় তাকে অথবা তার পরিবারের সদস্যদের কুমিল্লাসহ দেশের যেকোন স্থানে আক্রমণ করে খুন বা জখম করবে। এ অবস্থায় তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছে।

গত মাসের ১ তারিখে রাজধানীর গুলশানের ১২০ নম্বর রোডের একটি বাড়ি ভাড়া নেন মোসারাত জাহান মুনিয়া। বাসাটির ভাড়া ছিল ১ লাখ টাকা। বাসায় একাই থাকতেন মুনিয়া। সোমবার সন্ধ্যায় বাসার তিন তলার ফ্ল্যাট থেকে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ কুমিল্লায় নেওয়া হয়। পরে মা-বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।

এ ঘটনায় মামলার পর মঙ্গলবারই বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের বিদেশে যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত।

আনভীরের বিদেশ যাতায়াতের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করেন আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পরিদর্শক মোল্লা আবুল হাসান।

আবেদনে সাড়া দিয়ে আনভীরের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক শহিদুল ইসলাম। সেই সঙ্গে বিচারক আগামী ৩০ মের মধ্যে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দেন তিনি।

কেএফ

মন্তব্য করুন

daraz
  • অপরাধ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
অব্যাহতি পেলেন আনভীরসহ ৮ জন
X
Fresh