মামুনুলকে কোথায় রাখা হবে, থানায় নাকি ডিবিতে? (ভিডিও)
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে থানার হাজতে রাখলে সেখানে যেকোনো সময়ে হেফাজতের নেতাকর্মীরা তাণ্ডব চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কায় তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে। তবে, ডিএমপি’র তেজগাঁও বিভাগ চাচ্ছে, তেজগাঁওয় বিভাগেরই মামলায় তাকে প্রথমে আদালতে হাজির করতে। অন্যদিকে গোয়েন্দা ্পুলিশ (ডিবি) চাচ্ছে, পল্টন থানায় দায়ের করা মামলা, যেটি ডিবিতে তদন্তাধীন রয়েছে, মামুনুলকে ওই মামলায় আগে আদালতে হাজির করতে।
এমন পরিস্থিতিতে ডিএমপি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছেন, এরপর চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে তারা পুলিশ সদর দপ্তরেও যোগাযোগ করবেন বলে জানা গেছে। সেখান থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন সূত্র জানিয়েছে, শেষ পর্যন্ত আজ বিকেলে বা সন্ধ্যার পর মামুনুলকে ডিবি কার্যালয়েই নেওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যেহেতু থানার তুলনায় ডিবি কার্যালয় বেশি নিরাপত্তাজনক।
উল্লেখ্য, রোববার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রহমানিয়া মাদরাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তাকে তেজগাঁও থানার হাজতে রাখা হয়েছে। তবে, আজ রাতে তাকে কোথায় রাখা হবে, সে বিষেয় উর্ধ্বতন পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত এলেই নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এদিকে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় ও অন্যান্য মামলার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামুনুলকে আমাদের হেফাজতে আনার কথা বলেছি। যদি আমাদের কার্যালয়ে আনতে পারি, তাহলে আগামীকাল সোমবার (১৯ এপ্রিল) তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হবে।
অন্যদিকে, তেজগাঁও বিভাগের (ডিসি) হারুন অর রশীদ বলেন, মামুনুলের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা, থানায় হামলা, রেজিস্ট্রার অফিসে হামলা ভাঙচুরসহ অনেকগুলো মামলা রয়েছে। এসব মামলার তদন্ত চলছিল। আমরা দীর্ঘদিন ধরে তাকে নজরদারিতে রেখেছিলাম, পাশাপাশি এসব মামলার তদন্ত করছিলাম। তদন্তে তার সুস্পষ্ট সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
-
আরও পড়ুন... জরুরি বৈঠকে হেফাজত নেতারা
এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি হারুন বলেন, আজ তাকে তেজগাঁও থানায় রাখার কথা চিন্তা করছি আমরা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আগামীকাল তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। তার রিমান্ড চাওয়ার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কেএফ
মন্তব্য করুন