বিচারকের সঙ্গে কথা শেষে ফের কারাগারে ঐশী
বিচারকের সঙ্গে একান্তে কথা বলার পর ফের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ঐশী রহমানকে। ঢাকার মালীবাগে পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানকে হত্যা মামলায় তার ফাঁসির আদেশ হয়েছিল।
মূলত তার মানসিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে তার সঙ্গে একান্তে কথা বলেন বিচারক। সোমবার সকালে কাশিমপুর কারাগার থেকে ঐশী রহমানকে হাইকোর্টে নিয়ে আসা হয়।
হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ ঐশীর সঙ্গে একান্তে কথা বলার জন্য তাকে খাস কামরায় নেয়ার নির্দেশ দেন। সকাল ১০টা ৪০ মিনিট থেকে প্রায় ১৫ মিনিট ঐশীর সঙ্গে দুই বিচারপতি কথা বলেন।
এসময় ঐশীর আইনজীবী সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক জহির। বিচারকদের সঙ্গে কথা শেষে ঐশীকে কারাগারের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে গেলো ৩ এপ্রিল ঐশী রহমানের মানসিক অবস্থা পর্যবেক্ষণে আদালতে হাজিরের জন্য ডিআইজি প্রিজনকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ঐশীর ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানিকালে আদালত এই আদেশ দেন। গেলো ১২ মার্চ ঐশীর ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শুরু হয়।
২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগে নিজ বাসা থেকে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন তাদের কন্যা ঐশী গৃহকর্মী সুমীকে নিয়ে রমনা থানায় আত্মসমর্পণ করে।
২০১৪ সালের ৯ মার্চ ডিবির ইন্সপেক্টর আবুয়াল খায়ের মাতুব্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে ঐশীসহ চারজনকে অভিযুক্ত করে পৃথক দুটি চার্জশিট দাখিল করেন। গৃহকর্মী খাদিজা আক্তার সুমি অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তার মামলাটির বিচার চলছে শিশু আদালতে।
এইচটি/সি
মন্তব্য করুন