• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

প্রতারণার ৩০ বছর পর ধরা পড়লো ‘বনবন্ধু’

আরটিভি নিউজ

  ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৭:০৯
'Banabandhu' caught after 30 years of cheating
বনবন্ধু জাহিদুর রহমান ইকবাল

নিজেকে পরিচয় দিতেন ‘বনবন্ধু’ বলে। তার প্রকৃত নাম জাহিদুর রহমান ইকবাল। অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে নানা ধরনের সেবা দেয়ার কথা বলে প্রায় ৩০ বছর ধরে তিনি প্রতারণা চালিয়ে আসছিলেন। সবশেষ ধরা খেয়েছেন মুজিববর্ষের নামে অর্থ আদায় করতে গিয়ে। মুজিববর্ষের লোগো, প্রধানমন্ত্রীর বাণী সংবলিত ৪০ হাজার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের কাছে চিঠি পাঠিয়ে টাকা চেয়েছেন তিনি। বলেছেন, এই টাকা দিয়ে বৃক্ষরোপণ করবেন।

আজ বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ডিএমপি’র তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হারুন-অর-রশীদ তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। গতকাল মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের শাহ আলী ভবন থেকে প্রতারক বনবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ।

ডিসি হারুন-অর-রশীদ বলেন, ৩০ বছর ধরে নানা ধরনের প্রতারণা করে আসছেন ‘বনবন্ধু’। সবশেষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুজিববর্ষের লোগো ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী অবৈধভাবে ব্যবহার করে টাকা আয় করেছেন তিনি। ‘বনবন্ধু জাহিদুর ট্রি প্লান্টেশন’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানের পরিচয় দিতেন তিনি। মুজিববর্ষে গাছ লাগাবেন বলে অনেকের কাছ থেকে টাকা নেন। তিনি প্রায় ৪০ হাজার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কাছে চিঠি দিয়েছেন। এর মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকাও হাতিয়ে নিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, নিজেকে কনসালটেন্ট গ্রুপ লি., এসএমই কনসালটেন্ট লি., ইইএফ কনসালটেন্ট লি. এর নামে তিনটি অবৈধ কোম্পানির চেয়ারম্যান এবং সিইও দাবি করেন ‘বনবন্ধু’। তবে এসব কোম্পানির কোনো বৈধ কাগজপত্র তিনি দেখাতে পারেননি। বাংলাদেশ ব্যাংকের নাম ভাঙিয়ে ঋণ দেয়ার আশ্বাস দিয়েও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ পাওয়া গেছে। আমরা যখন তার কাছে গেলাম তিনি তখন বলেন, ‘আপনাদের যে পুলিশ ব্যাংক সেটা তো আমি কনসালটেন্সি করে এনে দিয়েছি। সেটাও বিনা পয়সায় করে দিয়েছি।’

তাকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডের আবেদন করা হবে উল্লেখ করে পুলিশ কমকর্তা হারুন বলেন, রিমান্ডে নিলে বোঝা যাবে তিনি কত লোকের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। আমরা ইতোমধ্যে ৫০০ মানুষের কাছ থেকে মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। তাদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে প্রাথমিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে রিমান্ডে না নেয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না তিনি কত টাকা হাতিয়েছেন।

পুলিশ জানায়, এই প্রতারক- কনসালটেন্ট গ্রুপ লি., এসএমই কনসালটেন্ট লি. ও ইইএফ কনসালটেন্ট লি.-এর ব্যানারে ফিনান্সিয়াল কনসালটেন্স, কোম্পানি নিবন্ধন, সোসাইটি নিবন্ধন, ট্রাস্ট নিবন্ধন, ফাউন্ডেশন নিবন্ধন, বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার নথিপত্র তৈরি, ব্যাংক, বিমা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নথিপত্র তৈরি, টিন-ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন, ফায়ার লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্স ডকুমেন্টস প্রসেসিংয়ের নামে অসংখ্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বিপুল অংকের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।

গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে ২৭০টি সিল, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ১৮৪টি ডকুমেন্টস প্রসেসিং ফাইল, মুজিববর্ষের লোগো ব্যবহার করা ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী সংবলিত ৫০০টি চিঠি, ২টি সিপিইউ, ২টি প্রিন্টার, ১টি স্ক্যানার, ২টি মনিটর, ১টি ল্যাপটপ, ২টি মোবাইল এবং ১টি টয়োটা করোলা গাড়ি জব্দ করা হয়েছে।

কেএফ

মন্তব্য করুন

daraz
  • অপরাধ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযান, গ্রেপ্তার ১৯
মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কেউ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি: প্রধানমন্ত্রী
পল্টনে ছয়তলা ভবন থেকে লাফিয়ে নারীর আত্মহত্যা
নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর বর্ষবরণ, যা বলছে ডিএমপি
X
Fresh