• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বন্দুকযুদ্ধ হলে কি আমাদের লোকজন বন্দুক ফেলে পালিয়ে আসবে?

আরটিভি নিউজ

  ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৬:১৫
If there is a gunfight, will our people drop their guns and flee?
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।। ফাইল ছবি

সন্ত্রাসীরা গুলি করলে সেটা প্রতিহত করতেই সরকার পুলিশকে অস্ত্র দিয়েছে। প্রয়োজনের নিরিখে জীবন রক্ষার জন্যই সরকারি অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। বন্দুকযুদ্ধ হলে কি আমাদের লোকজন বন্দুক ফেলে পালিয়ে চলে আসবে? আজ বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের (সিপিএইচ) নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।

প্রায় ৫ মাস পর গতকাল মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজারে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে, এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, বন্দুকযুদ্ধ হলে কি আমাদের লোকজন বন্দুক ফেলে পালিয়ে চলে আসবে? জকির ডাকাত, ভয়াবহ ডাকাত, যান কক্সবাজারে গিয়ে খবর নেন। গত ৩ বছরে তার কাছ থেকে কমপক্ষে দেড়শ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল যখন গুলিতে সে মারা গেছে তখনও তার কাছ থেকে ৯ টা অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। যখন এ ধরনের কোনো বিপদজনক আর্মস গ্যাং গুলি করবে, তখন কি আমরা শহীদ হয়ে চলে আসবো?

যেখানে আর্মস গ্যাং আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ব্যবহার করবে সেখানে আমরা প্রয়োজনের নিরিখে জীবন রক্ষার জন্য সরকারি অস্ত্র ব্যবহার করবো। সরকারি অস্ত্র দেওয়া হয়েছে সেটাকে প্রতিহত করবার জন্য। সরকার অস্ত্র দিয়েছে লাঠি হিসেবে ব্যবহারের জন্য না। লাঠি একরকম আর লিথেল উইপন আরেকরকম। সরকার যদি শুধু লাঠি দেয়, আমরা লাঠিই ব্যবহার করবো।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার এলাকার মানুষ জানে, জকির ডাকাত কী জিনিস, তার হাতে কত লোক অপহৃত হয়েছেন আর কতজন মারা গেছেন। তাই যেটা হয়েছে, সেটা আমি মনে করি প্রয়োজন হলে হবে, না হলে হবে না। এখানে ঘোষণা দিয়ে চালু করা বা বন্ধ করার কোনো বিষয় নেই।

এর আগে সিপিএইচর নবনির্মিত ভবন প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, গত বছরে মার্চে অতিমারি করোনার আবির্ভাব ঘটে, আর এতে সবচেয়ে বড় ক্যাজুয়ালিটি হয়েছে বাংলাদেশ পুলিশের। করোনায় প্রায় ৮৩ জন সদস্য শাহাদাত বরণ করছেন, সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে ২১ হাজার সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল একটি জেনারেল হাসপাতাল ছিল, কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে আমরা এটিকে দ্রুত কোভিড হাসপাতাল হিসেবে রূপান্তর করি।

নতুন ভবনের ফলে এ হাসপাতালের আইসিইউ, সিসিইউ, এইচডিইউ ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি পাবে জানিয়ে তিনি বলেন, পুলিশ সদস্যরা খুব চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। নানা কারণে পুলিশে হার্টের রোগী, লাং, কিডনি ও ক্যান্সারের রোগী প্রচুর। প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা খরচ করি তাদের বাইরে ট্রিটমেন্ট করানোর জন্য। এ হাসপাতালকে একটা পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল তৈরির চেষ্টা করছি, যাতে সব ধরনের চিকিৎসা নিশ্চিত করা যায়। আজকের পর এখানকার চিকিৎসা সুবিধা অনেক বেশি সম্প্রসারিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে বিভাগীয়- জেলা পুলিশ হাসপাতালগুলোকে উন্নত করার চেষ্টা করছি, যা পর্যায়ক্রমে করা হবে। পুলিশ মেডিক্যাল সার্ভিসেরও চেষ্টা চলছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিষয়ে একাধিকবার সরকারের সঙ্গে কথা হয়েছে। এ পর্যায়ে বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে। সরকার অনুমোদন দিলে আমরা মেডিক্যাল কলেজ বানাবো।

কেএফ

মন্তব্য করুন

daraz
  • অপরাধ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রের মেমফিসে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ২
মস্কো হামলা : যত টাকার বিনিময়ে গুলি চালায় বন্দুকধারীরা
মস্কো হামলায় নিহত বেড়ে ১৪৩
মস্কোতে বন্দুক হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬০
X
Fresh