‘অত্যাধুনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে ক্রাইম নিয়ন্ত্রণ করবে সরকার’
মাদক ক্রমাগত এক ভয়াবহ সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। পুলিশ, র্যাব ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি’র অভিযানেও মাদক নির্মূল হচ্ছে না। ফলে মাদকের ভয়াল থাবা থেকে দেশকে বাঁচাতে ভিন্নপন্থায় এগোনোর পরিকল্পনা করছে সরকার। কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরগুলোতে মাদক বিস্তার ঘটছে। কয়েক হাজার রোহিঙ্গাকে কক্সবাজারের শরণার্থীশিবির থেকে ভাসানচরে আনা হয়েছে। ভাসানচরে রোহিঙ্গারা যেন মাদকের বিস্তার ঘটাতে না পারে, সেজন্য অত্যাধুনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে ক্রাইম নিয়ন্ত্রণ করবে সরকার।
বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য ভাসানচরে আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে তাদের কিছু নেওয়া হয়েছে। কক্সবাজারে যারা আছেন এখানে মাঝে মধ্যে ক্রাইমের কথা শোনা যায়। এখানে যাতে কোনো ধরনের ক্রাইম না হয় সে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ক্রাইম নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ক্রাইম দমন করার জন্য আগামী মে মাসের মধ্যে অত্যাধুনিক যে সব ব্যবস্থার মাধ্যমে ক্রাইম দমন করা হয় সে ব্যবস্থা চালু করা হবে। ক্রাইম পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
মোজাম্মেল হক বলেন, দেশকে মাদকমুক্ত করার জন্য তিনটি বিষয়কে গরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাদক সেবী, মাদক বিক্রেতা এবং তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দাতাদের চিহ্নত করে দমন করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে জানিয়ে মোজাম্মেল হক বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় বৈঠকে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। আমাদের এখানে রোহিঙ্গারা আছে। আমরাও ৭১সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় রিফিউজি ছিলাম। রিফিউজিরা কখনও স্থায়ী নাগরিকত্ব পায় না।
এফএ
মন্তব্য করুন