দৌঁড়ের উপর ছিনতাইকারীরা, অনেকেই ছেড়েছে ঢাকা!

পুলিশের ভয়ে দৌঁড়ের উপর রয়েছে ছিনতাইকারীরা। তাদের অনেকেই এই আইন প্রয়োগকারী সংস্থাটির আভিযানের চাপে ঢাকার শহর ছেড়ে পালিয়েছে বলে দাবি করছে পুলিশ। ছিনতাই ও ডাকাতি বন্ধে পুলিশের বিশেষ অভিযানের মুখে তারা পালিয়ে গেছে। সম্প্রতি প্রায় শতাধিক ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করার ফলে তারা আতঙ্কিত হয়ে ঢাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় বলে জানানো হচ্ছে। পুলিশ বলছে, ছিনতাইকারীদের বিরেুদ্ধে এই বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

আজ শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এসব কথা জানান, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার। সম্প্রতি রাজধানীর শাহবাগে ৩৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তারের পর সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ডিএমপি। ওই সম্মেলনেই তিন এমন কথা জানান। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হাফিজ আক্তার বলেন, ছিনতাই এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ডিএমপি’র ডিবি প্রধান বলেন, ছিনতাই কমেছে কি-না তা জনগণ বিচার করবে। ছিনতাই এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমাদের অভিযানের কারণে অনেক ছিনতাইকারী ঢাকা ছেড়ে পালিয়েছে। আমাদের মূল কাজই হলো মানুষকে নিরাপত্তা ও সেবা দেওয়া। আর এই নিরাপত্তা দেওয়ার জন্যই আমাদের এ অভিযান। আমরা থানা পুলিশ, ডিবি, ক্রাইম ডিভিশন ও র‍্যাবসহ সবাই মিলে ঢাকার ২ কোটি বাসিন্দাদের নিরাপত্তায় কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, রাজধানীর শাহবাগে ৩৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি ধারাবাহিক অভিযানে ঢাকা ও আশপাশের জেলা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন- মাজহারুল ইসলাম ওরফে রাকিব, মো. জহিরুল তালুকদার, আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে খোকা, মো. সেলিম ওরফে ল্যাংরা সেলিম, মো. লালন ও মো. সেলিম মিয়া। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২টি চাপাতি, ২টি চাকু, একটি অ্যান্টি-কাটার, একটি হাতুড়ি ও ছিনতাই হওয়া ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। ছিনতাইয়ের বাকি টাকাগুলো চক্রের অন্যান্য সদস্যরা ভাগ করে নিয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হলে বাকি টাকাও উদ্ধার করা যাবে। চক্রটি বেশ বড়। তদন্তের স্বার্থে তারা কতজন, এখন তা বলতে চাচ্ছি না।

অতিরিক্ত কমিশনার হাফিজ আক্তার বলেন, গত ৭ ফেব্রুয়ারি ভিকটিম শহিদুল ইসলাম রাজধানীর তাঁতিবাজার অফিস থেকে একটি ব্যাগের মধ্যে ৩৫ লাখ টাকা নিয়ে ব্যাংকে জমা দেওয়ার উদ্দেশে রিকশা করে রওনা হয়। এরপর শাহবাগ থানার টিঅ্যান্ডটি এক্সচেঞ্জের পূর্বপাশে রাস্তার উপর টেম্পো স্ট্যান্ডে অনুমানিক দুপুর আড়াইটা থেকে তিনটার মধ্যে অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জন রিকশার গতিরোধ করে তাকে ঘিরে ধরে।

এরপর অজ্ঞাতনামা ভিকটিম শহিদুলকে কিল, ঘুসি, থাপ্পড় ও চাকু দিয়ে তার ডান চোখের নিচে গুরুতর আঘাত করে তার কাছে থাকা ৩৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় ৮ ফেব্রুয়ারি একটি মামলা করা হয়। ঘটনার পর থেকেই ডিবির রমনা টিম অভিযান শুরু করে ছিনতাইকারীদের শনাক্ত করে। এতে কারা জড়িত, কে খবর দিয়েছে সবাই ডিবির নজরে আছে। অতি শিগগিরই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তার করা হবে বলেও জানান ডিবির এ কর্মকর্তা।

কেএফ