রাজধানীতে অবৈধ গ্যাস সংযোগের মহোৎসব (ভিডিও)
রাজধানীর মিরপুর-২ এ অবৈধ গ্যাস সংযোগে দীর্ঘদিন ধরে চলছে হোটেল রেস্টুরেন্ট থেকে শুরু করে রুটি, বিস্কুট ও কেক তৈরির বেকারি। অথচ বাইরে রাখা দুয়েকটি সিলিন্ডার দেখে বুঝার উপায় নেই যে, এসব চলছে তিতাসের চোরাই গ্যাসে। আর লিকেজ থেকেও সজোরে বের হচ্ছে গ্যাস। যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
এ নিয়ে তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কথা না বললেও স্থানীয় সংসদ সদস্য বলেন, এর সঙ্গে তিতাসের লোকজনই জড়িত। তবে দলীয় কেউ থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মিরপুর চিড়িয়াখানা সংলগ্ন এলাকায় চলছে গ্যাস চুরির মহোৎসব। বাসা বাড়ির পাশাপাশি তিতাসের গ্যাস চুরি করে ব্যবহার করা হচ্ছে হোটেল রেস্টুরেন্ট ও বেকারিতে।
চিড়িয়াখানার প্রবেশ গেটের কয়েকশ গজ দূরেই আমির হোসেন মোল্লার বাড়ি। এই বাড়িতেই অবৈধ গ্যাস সংযোগে দীর্ঘদিন ধরে চলছে বেকারি। শাহিন কোয়ালিটি নামের এই বেকারির মালিক রবিউলকে পাওয়া না গেলেও কারিগর রুহুল আমিন প্রথমে অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরে ধরা পরে যান। তিনি বলেন, গ্যাস সংযোগ দেওয়া আছে। মাঝে মাঝে রান্না হয়, যখন গ্যাস থাকে।
চিড়িয়াখানা গেটের পাশেই তিনতলা মমিন হোটেল। আরটিভি নিউজ টিমের খবর পেয়ে অবৈধ সংযোগের কয়েকটি চুলা পাইপ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। তিনতলায় গিয়ে দেখা মিলে অবৈধ সংযোগে বেশ কয়েকটি চুলা জ্বলছে চোরাই গ্যাসে। কয়েকটিতে আবার লিকেজে ধরেছে আগুন। এ বিষয়ে কথা বলেননি হোটেলের মালিক মামুন।
পাশেই আরও একটি হোটেলে সবাইকে ধোঁকা দিতে সামনে রাখা হয়েছে গ্যাস সিলিন্ডার। অথচ ভেতরে সংযোগ রয়েছে তিতাসের চোরাই লাইন। হোটেলে কর্মচারী বলেন, আমরা বাড়ির মালিকের কাছ থেকে দুটি গ্যাসের সংযোগ নিয়েছি এবং তাকেই বিল দেওয়া হয়।
অপরদিকে অবৈধ গ্যাস সংযোগের সঙ্গে দলীয় কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ঢাকা-১৪ এর সংসদ সদস্য আসলামুল হক। তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি দেখব। যদি আমার এলাকায় এমন পাওয়া যায় আমি দ্রুত ব্যবস্থা নিব। এই ধরনের অবৈধ সংযোগ যারা দেয় তারা হলেন- গ্যাস বিভাগে যারা ঠিকাদারি করেন ও মাঠ পর্যায়ের কিছুকর্মী। আসলে এই বিষয়গুলো গ্যাস বিভাগেরই তদন্ত করে দেখা উচিত।
গ্যাসের অবৈধ সংযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে, কোনও কথা বলেননি তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
এসএ/পি
মন্তব্য করুন