১৯৮৮ পর সবচেয়ে ভয়াবহ হতে পারে এ বছরের বন্যা: জাতিসংঘ
ভয়াবহ বন্যায় বাংলাদেশে ইতোমধ্যেই ৫৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। আর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২৪ লাখ মানুষ। এমতাবস্থায় জাতিসংঘ সতর্ক করে দিয়ে বলেছে যে, বাংলাদেশে চলতি বছরের বন্যা ১৯৮৮ সালের পর সবচেয়ে ভয়াবহ হতে পারে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টেফ্যানে ডুজারিক বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে প্রায় ৫৬ হাজার মানুষকে ইতোমধ্যে সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। নিয়মিত এই ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ডুজারিক বলেন, জাতিসংঘ এবং আমাদের মানবিক সহায়তা অংশীদাররা খাদ্য, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, জীবাণুমুক্তকরণ কিট এছাড়া জরুরি আশ্রয় সহায়তা দিয়ে সরকারের প্রচেষ্টাকে সাহায্য করছে।
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা পরিবারগুলোকে সহায়তা করতে জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে ৫২ লাখ ডলার অর্থ দিয়েছে ইউএন সেন্ট্রাল ইমার্জেন্সি রেসপন্স ফান্ড।
মানবিক সহায়তা বিষয়ক জাতিসংঘের সমন্বয়ক অফিসের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এর ফলে গত ১১ জুলাই থেকে কমিউনিটির কাছে পৌঁছে কৃষি যন্ত্রপাতি সুরক্ষায় বন্ধ করা যায় এমন ড্রাম এবং জীবাণুমুক্তকরণ এবং স্বাস্থ্য কিটসহ আর্থিক সহায়তা দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা করা হচ্ছে।
ডুজারিক বলেন, করোনাভাইরাস মহামারি এবং আম্পানের ক্ষত সেরে ওঠার আগেই এই বন্যা হওয়ায় এই প্রচেষ্টা খুব বেগ পেতে হচ্ছে। মার্কিন রেডক্রস জানিয়েছে, গত মে মাসে আঘাত হানা আম্পান বঙ্গোপসারের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়।
এদিকে জাতিসংঘের রেকর্ড বলছে, ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশে ভয়াবহ বন্যায় প্রায় ৫০০ মানুষের মৃত্যু হয়। এসময় বাস্তুচ্যুত হয় আড়াই কোটির বেশি মানুষ।
এ
মন্তব্য করুন