• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ধুরন্ধর সাহেদ (ভিডিও)

আরটিভি নিউজ

  ১৫ জুলাই ২০২০, ২১:৪১

‘মাল্টি লেভেল মার্কেটিং’ ব্যবসা করে গ্রাহকের কাছ থেকে কমপক্ষে ৫০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন প্রতারক সাহেদ। এজন্য, জেলও খেটেছেন। প্রতারণার টাকা দিয়েই গড়ে তোলেন রিজেন্ট গ্রুপ। চালু করেন, হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক কিছু। র‌্যাব জানায়, এখন পর্যন্ত সাহেদের বিরুদ্ধে ৩২টি মামলার খোঁজ পেয়েছেন তারা। তবে তার বিরুদ্ধে মোট মামলা হয়েছে ৬০টি।

জাতীয় পরিচয়পত্রে তার নাম, সাহেদ করিম। মাল্টি লেভেল মার্কেটিং বা এমএলএম প্রতারণার সময় নাম ছিলে মেজর ইফতেখার করিম। কারো কাছে পরিচয় দেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ শহীদ। এখন অবশ্য সবাই তাকে চিনে মোহাম্মদ সাহেদ নামে। এমন একাধিক নাম ও পরিচয়ের আড়ালে ‘সুশীল সমাজের মানুষ বনে যাওয়া প্রতারক সাহেদই আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান।

২০১০ সালের দিকে সাহেদ রাজধানীর ধানমন্ডিতে ‘বিডিএস কিক ওয়ান’ ও কর্মমুখী কর্মসংস্থান সোসাইটি (কেকেএস) নামে দুটি এমএলএম কোম্পানি খুলে গ্রাহকদের কাছ থেকে কমপক্ষে ৫০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে গা ঢাকা দিলে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকরা তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। ২০১১ সালে প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার হন। কিন্তু অবৈধ সেই টাকার জোরেই দ্রুত জামিনে কারাগার থেকে বের হয়ে আসেন। এরপর প্রতারণার অর্থ দিয়ে ‘রিজেন্ট গ্রুপ’ নামে ব্যবসা শুরু করেন। চালু করেন রিজেন্ট হাসপাতাল।

এরপর শুরু হয়, নতুন কৌশলে পথচলা। বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে, বিশেষ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে তিনি নিজেকে কখনও অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা, কখনও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত- এমন নানা পরিচয় দিতেন। কৌশলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ছবি তুলতেন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে স্পন্সর সহযোগিতা করে তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ান। এসব কিছু কাজে লাগাতেন নিজের স্বার্থে। অফিস, হাসপাতাল বা বাসা- সবখানেই সরকারের ক্ষমতাধর ব্যক্তি বা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে তোলা ছবি বাঁধাই করে টাঙিয়ে রাখতেন। যেন সবাই বুঝতে পারেন, তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ঘনিষ্ঠতা আছে।

বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে তোলা ছবিকে পুঁজি করেই, রিজেন্ট মালিক সাহেদ বিভিন্ন অপকর্ম করছেন। এ নিয়ে কেউ কিছু বললেই দেখে নেয়ার হুমকি দিতেন। নিজেকে মিডিয়া ব্যক্তিত্ব জাহির করে টাকা ও উপহারের বিনিময়ে টক শোতে অংশ নিতেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। রিজেন্ট হাসপাতালে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা নিয়ে জালিয়াতি করে ফেঁসে যান। ৭ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতাল ও প্রধান কার্যালয় সিলগালা করে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে হয় নিয়মিত মামলা।

সাহেদের গ্রামের বাড়ি, সাতক্ষীরায়। মোটামুটি সচ্ছল পরিবার থেকে উঠে আসা সাহেদ, কোটিপতি হতে বেছে নিয়েছিলেন প্রতারণার আশ্রয়। সাতক্ষীরায় তাকে সবাই ‘বাটপার সাহেদ’ হিসেবে চেনে। সেই প্রতারণাই শেষ পর্যন্ত কাল হলো তার।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
অস্ত্র মামলায় রিজেন্টের সাহেদকে খালাসের রায় স্থগিত
অস্ত্র মামলায় রিজেন্টের সাহেদের খালাস
X
Fresh