করোনায় আক্রান্ত কম হলেও মানসিক চাপে শিশুরা (ভিডিও)
করোনাভাইরাসে শিশুরা অপেক্ষাকৃত কম আক্রান্ত হলেও নীরবে ফেলছে মানসিক চাপে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বন্ধ আছে বাইরে খেলাধুলা। তাই ঘরে থেকে আসক্তি বাড়ছে প্রযুক্তি পণ্যে। মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাত্রাতিরিক্ত প্রযুক্তি পণ্যের ব্যবহার শিশুদের মেধার বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করছে। তাই এ বিষয়ে অভিভাবকদের এখনই সচেতন হতে হবে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সরকারের নির্দেশে গেল মার্চে স্কুল বন্ধ হওয়ায় পর থেকে ঘরবন্দী তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী রাফিয়া রাদনিন রিয়া। করোনার কারণে বাইরে বের হওয়ারও সুযোগ নেই। তাই এখন সব সময়ের সঙ্গী মায়ের মোবাইল ফোন। সময় কাটে ছোট ভাইয়ের সঙ্গে ভিডিও গেম খেলে, টিভি দেখে। কেবল রাফিয়া নয়, এমন বাস্তবতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশের প্রায় সব শিশু।
অভিভাবকরা বলছেন, মোবাইল ফোন ও কম্পিউটারের অতি ব্যবহারে ক্ষতি হবে জেনেও সন্তানদের শান্ত রাখতে ব্যবহার করতে দিতে হচ্ছে।
মাত্রাতিরিক্ত প্রযুক্তির ব্যবহারে শিশুদের মধ্যে এক ধরনের আসক্তি তৈরি হয়। কমে যায় মনোযোগ। এমন আসক্তি তাদেরকে মানসিকভাবেও বিকলাঙ্গ করে দিতে পারে।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজি ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান ড. মোছাম্মৎ নাজমা খাতুন বলেন, বাচ্চারা যখন গেমের মধ্যে থাকে, অনেকক্ষণ ধরে কোনো একটা অনুষ্ঠান দেখে, তখন ওদের মধ্যে তীব্র একটা ইচ্ছে তৈরি হয় এরপর আমার দেখতেই হবে। এই দেখাটা এমন অন্য সবকিছু সে ভুলে যাবে। সে চাইলেই সে এখান থেকে বের হতে পারে না।
মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনার এই সময়ে শিশুদের একঘেয়েমি ও মানসিক চাপ কমাতে অভিভাবকদের কৌশলী হতে হবে। মনোযোগ দিয়ে শুনাতে হবে তাদের কথা গল্প করতে হবে, যত্ন নিতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মাহফুজা খানম বলেন, বাসায় একটা রুটিন তৈরি করে দিতে হবে। পড়ার সময়, খেলার সময় উল্লেখ থাকবে। খেয়াল রাখতে হবে কোনো কিছুতে শিশু যেন বেশি নজর না দেয়, আবার সব কিছু থেকে যেন নিজেকে দূরে না রাখে।
পাশাপাশি শারীরিক ব্যায়ামের জন্য ঘরে মধ্যেই খেলার আয়োজন করার পরামর্শ দিলেন তিনি।
জিএ
মন্তব্য করুন