• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

নৌপথে যাত্রী পরিবহনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১৪ নির্দেশনা

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২৯ মে ২০২০, ২১:৩৫
14 instructions of the Department of Health for passenger transport by water
নৌপথে যাত্রী পরিবহনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১৪ নির্দেশনা

মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে নৌপথে যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে ১৪টি নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ নির্দেশনা মেনে নৌপথে যাত্রী পরিবহন করতে হবে। শুক্রবার (২৯ মে) দেওয়া এই ১৪ নির্দেশনার বলা হয়েছে—

১. নৌপথে যাত্রী পরিবহন স্টেশনে জরুরি পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে, নিরাপত্তা এবং জীবণুমুক্তকরণ পদ্ধতি মানসম্মত করতে হবে, সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোভিড-১৯ এর প্রতিরোধে ও নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে এবং মাস্ক, গ্লাভস ও জীবাণুমুক্তকরণ দ্রব্যাদির পর্যাপ্ত মজুত থাকতে হবে।

২. কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা স্থাপন করতে হবে এবং তাদের স্বাস্থ্যের অবস্থা প্রতিদিন লিপিবদ্ধ করতে হবে এবং যারা অসুস্থতা অনুভব করবে তাদের যথাসময়ে চিকিৎসাসেবা দিতে হবে।

৩. স্টেশনে আসা এবং বের হয়া যাত্রীদের তাপমাত্রা মাপার জন্য ফেরি টার্মিনালে তাপমাত্রা নির্ধারকযন্ত্র স্থাপন করতে হবে। যথাযথ শর্তাবলি মেনে ফেরি টার্মিনালে একটি জরুরি এলাকা থাকতে হবে, যেসব যাত্রীর শরীরের তাপমাত্রা ৩৭.৩ সে: বা ৯৯+ ফা. এর ওপরে থাকবে, তাদের এই জরুরি এলাকায় অস্থায়ী কোয়ারেন্টিনে রাখতে হবে এবং প্রয়োজনমতো চিকিৎসাসেবা দিতে হবে।

৪. বায়ুনির্গমণ পদ্ধতি যেন স্বাভাবিক থাকে, তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। নৌ চলাচলের সময়ে সর্বোচ্চ বায়ু চলাচল করতে দিতে হবে, যথাযথ তাপমাত্রায় বায়ু চলাচলের জন্য কেবিনের জানালা খুলে দিতে হবে।

৫. ফেরি টার্মিনালগুলোতে জনগণের জন্য ব্যবহার্য এবং জনসাধারণের চলাচলের স্থানগুলোকে পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্তকরণের হার বাড়াতে হবে। টয়লেটগুলোতে তরল সাবান (অথবা সাবান) থাকতে হবে, সম্ভব হলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং হাত জীবাণুনাশক যন্ত্র স্থাপন করা যেতে পারে।

৬. ফেরি টার্মিনাল এবং নৌযানগুলোকে তাদের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে, আবর্জনাকে যথাসময়ে সরিয়ে ফেলতে হবে এবং জনগণের জন্য ব্যবহার্য এবং জনসাধারণের চলাচলের স্থান পরিষ্কার করতে হবে এবং প্রতিনিয়ত জীবাণুনাশক দিতে হবে।

৭. প্রতিটি নৌযানে হাতে ধরা থার্মোমিটার থাকতে হবে, যথাযথ স্থানে একটি জরুরি এলাকা স্থাপন করতে হবে, যেখানে সন্দেহজনক উপসর্গগুলো যেমন জ্বর ও কাশি আছে, এমন যাত্রীদের অস্থায়ী কোয়ারেন্টিনে রাখা যাবে।

৮. যথাযথ শর্তসাপেক্ষে নৌযানের অভ্যন্তরীণ তথ্যকেন্দ্র বা সেবাকেন্দ্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার থাকতে হবে, সেবাপ্রক্রিয়া নিখুঁত থাকতে হবে।

৯. প্রতিবার নৌযান ছেড়ে যাবার পূর্বে কেবিন ও ব্রিজের পৃষ্ঠতল পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করতে হবে, সিট কভারগুলোকে প্রতিনিয়ত ধাওয়া, পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

১০. যাত্রী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুরক্ষার জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষার ক্ষেত্রে জোর দিতে হবে। মাস্ক পরিধান করতে হবে এবং হাতের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিতে হবে।

১১. যাত্রীদের অনলাইনে টিকিট ক্রয় করার জন্য পরামর্শ দেয়া হচ্ছে, সারিবদ্ধভাবে ওঠার সময় এবং নেমে যাওয়ার সময়ে যাত্রীদের পরস্পর হতে এক মিটারেরও বেশি দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে।

১২. ফেরি টার্মিনাল ও নৌযানে যাত্রীদের স্বাস্থ্যসচেতন করার জন্য রেডিও, ভিডিও ও পাস্টোরের মাধ্যমে সচেতনতামূলক বক্তব্য প্রদান করতে হবে।

১৩. যুক্তিসঙ্গতভাবে পরিবহনের ধারণ ক্ষমতা সজ্জিত করতে হবে এবং সীমিত আকারে টিকিট বিক্রির মাধ্যমে যাত্রীদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যেসব নৌযান মাঝারি ও উচ্চ ঝুঁকিসম্পন্ন এলাকা হতে ছেড়ে যাবে অথবা পৌঁছাবে অথবা ওই এলাকা দিয়ে যাবে, সেসব ক্ষেত্রে যাত্রীদের আলাদা সিটে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে বসতে হবে।

১৪. যদি নিশ্চিত কোভিড-১৯ এর রোগী পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গভাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাইডলাইন অনুযায়ী জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
তদন্ত প্রতিবেদন ৩ মাসের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ 
আরও ৩৫ জনের করোনা শনাক্ত
করোনায় প্রাণ গেলো আরও ১ জনের, শনাক্ত ৪৯
‘শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি সন্দেহজনক’
X
Fresh