• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ইউরোপ-আমেরিকাও কিছু রোহিঙ্গা নিতে পারেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২৩ মে ২০২০, ১০:২৩
Bangladesh has so far sheltered more than 1.1 million Rohingyas
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন

বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। আমরা আর পারব না। আমাদের কাছে কোনো জায়গা নেই। বড় যাঁরা মাতবর, ইউরোপ-আমেরিকা, যাঁরা আমাদের উপদেশ দেন, আদেশ করেন, তাঁরাও রোহিঙ্গাদের নিতে পারেন। তাঁদের জায়গার কোনো অভাব নেই। বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

সাগরে ভাসা একদল রোহিঙ্গাকে নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর উদ্বেগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আজ শুক্রবার দুপুরে তিনি গণমাধ্যমের কাছে এ মন্তব্য করেন।

আব্দুল মোমেন বলেন, ‘অনেকের ধারণা যেহেতু নতুন একটা দ্বীপ সেখানে পানি থাকে। আর ঝড়-বৃষ্টি হলে ভাসানচর ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। অন্যরা যেহেতু বলে আমাদেরও ভয় ছিল। বড় ঝড় হলে ভাসানচর বোধ হয় ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। অথচ ঘূর্ণিঝড় বুলবুল ছোবল হানার পর শ-পাঁচেক জেলে ভাসানচরে আশ্রয় নিয়েছিল। এবার ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আগে আমাদের ইউরোপীয় বন্ধু দেশ ও তাদের রাষ্ট্রদূতেরা দুশ্চিন্তায় ছিলেন। ৩০৬ জন রোহিঙ্গাকে আমরা ওখানে রেখেছি। তাদের জন্য তারা কিছু করবে কি না। ভাসানচরের রোহিঙ্গাদের নিয়ে উনারা খুব চিন্তিত। ঝড়ে যদি রোহিঙ্গারা ভেসে যায়!

তিনি জানান, ঐতিহাসিকভাবে ভাসানচরে পানির উচ্চতা ১৫ ফুটের বেশি নয়। ভাসানচরে দুটো বাঁধ আছে। প্রথমটা ১২ ফুট উঁচু আর দ্বিতীয়টি ৩৩ ফুট। রাখাইন থেকে মালয়েশিয়ায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়া রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়ে বাধ্য হয়ে ভাসানচরে নিয়েছে। তা ছাড়া তো কোনো বিকল্প ছিল না। কারণ রোহিঙ্গাদের মাঝে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে অনেকেই চিন্তিত।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যখনই ঝামেলা হয়, তখন সবাই বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে থাকেন। ভাবখানা এমন আমরা যেহেতু আগে ১১ লাখ আশ্রয় দিয়েছি, বাকিগুলোকেও দিই। রোহিঙ্গা দুনিয়ার যেখানেই হবে, তাকে আপনারা সাহায্য করেন। আমরা বলেছি, আমরা আর পারব না। আমাদের কাছে কোনো জায়গা নেই। অন্যদেরও দায়িত্ব আছে। রোহিঙ্গা একা আমাদের সমস্যা নয়। বিশ্বের সমস্যা। উপকূলীয় যে দেশগুলো রয়েছে তারা নিতে পারে। কিংবা বড় যারা মাতবর, যাঁরা আমাদের উপদেশ দেন, আদেশ করেন, তাঁরাও নিতে পারে। তাঁদের জায়গার কোনো অভাব নেই।’

গত বুধবার ইউরোপের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘সেদিন ইউরোপীয় রাষ্ট্রদূত এসেছিলেন। আমি তাকে বলেছি আপনার যদি তাদের উন্নত জীবন দেওয়ার দরদ থাকে, আপনারা নিয়ে যান কোনো অসুবিধা নেই। কাউকে আটকাব না। তাদের যেকোনো জায়গায় নিয়ে যান। এখানে থাকলে তাদের ভবিষ্যৎ ভালো হবে না।’

এসজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ভাসানচরে রোহিঙ্গা নাগরিককে গলা কেটে হত্যা
৫ মাসের শিশু চুরির ৫ দিন পর উদ্ধার, ২ রোহিঙ্গা গ্রেপ্তার
জাতিসংঘে ফের রোহিঙ্গা সংকট উত্থাপন বাংলাদেশের
ভাসানচরের রোহিঙ্গাদের মাঝে পুলিশের ইফতার বিতরণ
X
Fresh