• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

ঘূর্ণিঝড় আম্পান: ঢাকায় রাতভর ঝড়-বৃষ্টি

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২১ মে ২০২০, ০৮:১২
Cyclone Ampan: Overnight storm-rain in Dhaka
ছবি: সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে রাতভর ঝড়বৃষ্টি হয়েছে রাজধানী ঢাকায়। ভোরের দিকে বৃষ্টির পরিমাণ কমে এলেও বইছে দমকা হাওয়া।

বুধবার (২০মে) বিকেলে ঘূর্ণিঝড় আম্পান বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানে। তবে আম্পানের মূল অংশ ভারতে ছিল।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, আম্পানের প্রভাবে আজও দেশের আকাশ বৈরি থাকবে। একইভাবে ঢাকায়ও। পূর্বাভাসে বলা হয়, আজ সারাদিন ঢাকা ও এর আওতাধীন জেলাগুলোর আকাশ সারাদেশের মতো মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। যদিও দমকা হাওয়া আর বৃষ্টির পরিমাণ কমে এসেছে। কিন্তু তারপরও অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সবশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার (২০ মে) রাতে বলা হয়েছে- ঘূর্ণিঝড় আম্পান আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করে বর্তমানে সাতক্ষীরা জেলা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় হিসেবে। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বৃষ্টি ঝড়িয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আম্পানের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। সাগর উত্তাল থাকবে।

মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

আর চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে নয় নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ নয় নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

এছাড়া ঘূর্ণিঝড় এবং দ্বিতীয় পক্ষের চাঁদের সময়ের শেষ দিনের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিমথিল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১০-১৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh