'করোনার কিট অন্য দেশ নিয়ে যাবে, বাংলাদেশ পাবে না'
আপনারা বিজনকে (ড. বিজন কুমার শীল) একটু গুরুত্ব দিন, তাকে একবার সুযোগ দিন। তিনি যে আবিষ্কারটি করেছেন, এটা দেশ ও জাতির জন্য ব্যবহার করার সুযোগ দিন। এটা ব্যবহার করলে করোনাভাইরাস মোকাবিলার দ্বার উন্মুক্ত হবে। পাশাপাশি, অদূর ভবিষ্যতে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়ায় নিয়েও বিজন কাজ করতে পারবে। তা না হলে যেটা হবে, বিজনের সৃজনটা অন্য দেশ নিয়ে যাবে, বাংলাদেশ পাবে না। বলেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
বুধবার (২০ মে) এক সেমিনারে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় ঝুলে থাকা গণবিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. বিজন কুমার শীল উদ্ভাবিত করোনা কিট নিয়ে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এই ট্রাস্টি বলেন, সারাদেশে ৪২টি পিসিআর ল্যাবে প্রতিদিন ১০ হাজার করে রোগীর করোনা টেস্ট হচ্ছে। আমাদের এই দ্রুত টেস্ট পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রতিদিন ৫০ হাজার লোকের করোনা টেস্ট করা সম্ভব। আমরা সেভাবেই কিট বানিয়েছি। কিটের ডিজাইন এমনভাবে করা হয়েছে যে এখন থুতুকে নমুনা হিসেবে ব্যবহার করেও করোনা শনাক্ত করা যাবে।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমি পিসিআর পদ্ধতিকে ছোট বা বড় করছি না। শুধু বলছি, পিসিআর যেটা করতে পারে, আমাদের কিট সেটা করতে পারে কি না, সেটা যাচাই করে দেখুন। তারপর আপনারা সিদ্ধান্ত দিন। পিসিআরের পরীক্ষার সঙ্গে যদি আমাদের কিটের পরীক্ষা ম্যাচিং হয়, তাহলে দ্রুত বলে দিন আমাদের কিট ঠিক আছে। আমরা ব্যবহার করতে শুরু করি।