• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বাংলাদেশ পুলিশের সকল সদস্যকে ধন্যবাদ: মাশরাফি

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৯ এপ্রিল ২০২০, ১৬:৪৪
বাংলাদেশ পুলিশের সকল সদস্যকে ধন্যবাদ: মাশরাফি
ছবি- সংগৃহীত

করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে দেশের প্রায় সব জায়গায়। এই মহামারী ভাইরাসে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৪৫৬ জন আর মৃত্যু হয়েছে ৯১ জনের।

সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী অঘোষিত লক-ডাউনের কথা বলা হলেও মানুষ সেটা মানছে না যথাযথ ভাবে। এর জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ পুলিশ সদস্যরা। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছেনও বেশ কিছু পুলিশ সদস্য। তবু উজাড় করে দিচ্ছেন নিজেদের, দেশের এই খারাপ সময়ে।

বাংলাদেশ পুলিশের এমন দায়িত্ব পালনে তাদের সম্মান জানিয়েছেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা।

এক ভিডিও বার্তায় মাশরাফি জানিয়েছেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস রোধে বাংলাদেশ পুলিশের অবদান অসামান্য। সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী শুধু হোম কোয়ারেন্টিন বা লক-ডাউনেই বাংলাদেশ পুলিশ সীমাবদ্ধ থাকেনি। বরং খাদ্য সহায়তার জন্য বাংলাদেশ পুলিশ এগিয়ে এসেছে। বরং বিভিন্ন এলাকায় জীবাণুনাশক ছিটিয়ে জীবাণুমুক্ত করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ বাংলাদেশ পুলিশ হাতে নিয়েছে। এমনকি ডাক্তারদের হাসপাতালে যাতায়াতের ব্যবস্থাও বাংলাদেশ পুলিশ করছে। যদি কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায় সেক্ষেত্রেও পুলিশ দাফনের ব্যবস্থা করছে। এমনকি পুলিশের সদস্যরা তাদের প্রাপ্য বৈশাখী ভাতা, একদিনের বেতনসহ প্রায় ২০ কোটি টাকা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত তহবিলে জমা দিয়েছে। তাই বাংলাদেশ পুলিশের প্রত্যেকটি সদস্যকে আমি ধন্যবাদ জানাই। আশা করছি দেশের এবং দেশের মানুষের প্রয়োজনে বাংলাদেশ পুলিশ এভাবেই কাজ করে যাবে। আমরা সবাই ঘরে থাকি, নিয়ম মেনে চলি এবং বাংলাদেশ পুলিশকে সহায়তা করি। আশা করছি বাংলাদেশ পুলিশের সকল সদস্য যেন সুস্থ থাকে।

এছাড়াও গত ১২ এপ্রিল ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেছেন দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্যের। যেখানে তিনি লিখেছিলেন, করোনা ভাইরাস দেশে আঘাত হানার সাথে সাথে তাদের কাজ যেন বেড়ে গেছে অনেকগুন। দিন রাত এক করে কাজ করে যাচ্ছেন তারা, কোনো প্রকার অভিযোগ ছাড়াই। হ্যাঁ, আমাদের পুলিশ ভাইদের কথা বলছি। তারা সত্যিই অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন, শুধু আমাদেরকে করোনা নামক মহামারী থেকে সুরক্ষিত রাখতে। সারাটা দিন আমাদের পেছনে ছুটতে ছুটতে শরীরটা যখন আর সায় দেয় না, তখন মশার কামড়, গরম সব কিছুর কাছে হয়তো হার মেনে যান। বসার কিছু একটা পেলে শরীরটা ১৫-৩০ মিনিটের জন্য ছেড়ে দেয়, কারণ তারপর যে আবার যেতে হবে টহলে। সবাইকে সতর্ক করতে গিয়ে তারা ভুলেই যান যে তাদেরও একটা বাসা আছে, পরিবার আছে। আমরা কি পারি না এই পুলিশ, ডাক্তারদের দিকে তাকিয়ে হলেও নিজেদের একটু নিয়ন্ত্রণে রাখতে? আমরা যদি শুধু আমাদের কথা চিন্তা করেও বাসায় থাকতাম, তাহলে হয়তো এই মানুষগুলোর এতোটা কষ্ট হতো না।

মহান আল্লাহ্‌ তাআলার কাছে দোয়া করি যেন এই মানুষগুলো ভালো থাকেন। সবাই ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকুন, অন্যকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করুন।

এমআর/

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে সাকিব-মাশরাফি
X
Fresh