মানুষকে আকর্ষণের অসাধারণ ক্ষমতা ছিল সুরঞ্জিতের
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আমরা একসঙ্গে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের পার্লামেন্টে কথা বলার একটা বড়গুণ ছিল। সংসদে তিনি যেকোন বিষয়ে কথা বলতে পারতেন। অনেক কঠিন কথাকে হাস্যরস দিয়ে মানুষের সামনে তিনি তুলে ধরতেন। বক্তৃতার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে সহজে আকর্ষণ করার অসাধারণ ক্ষমতা ছিল তার। জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার সংসদে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মৃত্যুতে আনিত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণপরিষদে সংবিধান রচনার বিরোধী দলের হয়েও ওই সময় সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ভূমিকা রেখেছেন। বিরোধী দলে থেকেও তিনি একাই ছিলেন একশো’। তিনি যখন কথা বলতেন বঙ্গবন্ধু তখন তাকে উৎসাহিত করতেন। সুযোগ দিয়ে দিয়ে এভাবেই বঙ্গবন্ধু তাকে গড়ে তুলেছেন। গেলো বৃহস্পতিবারও তিনি সংসদে বক্তব্য রেখেছেন। সংসদে বলা তার কথাগুলো সারাজীবন মানুষের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ৭২-এর যে সংবিধান রচিত হয়েছিল সেই সংবিধান বার বার সামরিক শাসনের দ্বারা ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে। সেই সংবিধানকে পুনরুদ্ধার করে মানুষের মাঝে ফিরিয়ে এনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রত করতে অনেক সংগ্রামের পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। এই সংগ্রামের পথে একজন সাথী ছিলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
তিনি বলেন, সময় আসলে সবাইকে চলে যেতে হবে। তবে দেশটাকে নিয়ে যেনো আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে, এদেশ যেনো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে গড়ে ওঠে এবং দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটে সত্যিকার সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে ওঠে এ ব্যাপারে সবাইকে কাজ করে যেতে হবে।
এসজে/
মন্তব্য করুন