• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

গ্রন্থমেলা শুরু হচ্ছে আজ

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১২:৩৫

ভাই হারানোর ব্যথা আর মায়ের ভাষার মর্যাদা রক্ষার গৌরব নিয়ে বুধবার শুরু হচ্ছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা। বাংলা ভাষা সাহিত্যের চর্চা, বিকাশ, বাঙালি সংস্কৃতির বহমান উদার অসাম্প্রদায়িক ধারায় অনন্য সংযোজন এই বইমেলা। এদিন বিকেল ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্ধোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে মাসব্যাপী প্রাণের মেলা।

১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাঙালির জীবনে আসে ভাষার অহংকার। এ মাসের একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাংলাকে মাতৃভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে বাঙালি জাতি। আর তাই ভাষার মাসে বইমেলার এই আয়োজন। দেশের ঐতিহ্যবাহী মেলাগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।

১৯৭২ সালের ৮ ফেব্রয়ারি বর্ধমান হাউজের বটতলায় কলকাতা থেকে আনা ৩২টি বই নিয়ে প্রথম মেলা শুরু করেন প্রকাশক চিত্তরঞ্জন সাহা। এর পর থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত ৪ বছর একাই চালিয়ে যান প্রাণের এই মেলা। ১৯৭৬ সালে অন্য প্রকাশকরাও তার দেখানো পথে হেঁটে এই আয়োজনে অংশ নেন। ১৯৭৮ সালে মেলার সঙ্গে যুক্ত হয় বাংলা একাডেমি। আর ১৯৭৯ সালে যুক্ত হয় পুস্তক বিক্রেতা ও প্রকাশক সমিতি।

বাংলা একাডেমির আয়োজনে প্রথম ১৯৮৩ সালে কাজী মনজুরে মওলা মহাপরিচালক হিসেবে অমর একুশে গ্রন্থমেলার আয়োজন করেন। ১৯৮৪ সালে মহাসমারোহে অমর একুশে গ্রন্থমেলার সূচনা হয়। এরপর প্রতিবছরই ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে বাংলা একাডেমির আয়োজনে গ্রন্থমেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ২০১৪ সাল থেকে বাংলা একাডেমির পাশে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মেলার পরিধি সম্প্রসারণ করা হয়েছে।

এবার প্রায় ৪ লাখ বর্গফুট জায়গা নিয়ে বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, মেলা প্রাঙ্গণে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশকে ১২টি চত্বরে সাজানো হয়েছে।

তিনি জানান, বাংলা একাডেমিতে ৮০ প্রতিষ্ঠানকে ১শ’১৪টি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৩শ’২৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৫শ’৪৯টি স্টলসহ মোট ৪শ’৯ প্রতিষ্ঠানকে ৬শ’৬৩টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বাংলা একাডেমিসহ ১৪ প্রকাশনা সংস্থাকে ৬ হাজার বর্গফুট আয়তনের ১৫টি প্যাভিলিয়ন দেয়া হয়েছে। এছাড়া ১শ’ লিটল ম্যাগাজিনকে বর্ধমান হাউসের দক্ষিণ পাশে লিটল ম্যাগাজিন কর্নারে স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

শামসুজ্জামান খান বলেন, মেলায় বাংলা একাডেমি ৩০ শতাংশ এবং অন্যান্য প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ২৫ শতাংশ কমিশনে বই বিক্রি করবে। অন্যবারের মতো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিশু কর্নারকে এবারো সাজানো হয়েছে আকর্ষণীয় করে। ৬০টি ইউনিটের চত্বরটি রঙ-বেরঙের লাইটিংয়ে সাজানো হয়েছে। শিশুদের জন্য রয়েছে খেলার সামগ্রীও। মাসব্যাপী গ্রন্থমেলায় এবারো শুক্র ও শনিবার থাকবে শিশু প্রহর।

এইচটি/ডিএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh