• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

সৌদি থেকে ফিরল ৮ রেমিটেন্স যোদ্ধার বাক্সবন্দী মরদেহ

আরটিভি অনলাইন ডেস্ক

  ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২১:১০
সৌদি থেকে ফিরল, ৮ রেমিটেন্স যোদ্ধার বাক্সবন্দী মরদেহ
ফাইল ছবি

সৌদি আরব থেকে ২ নারীসহ ৮ প্রবাসী শ্রমিকের মরদেহ দেশে ফিরেছে। একই সঙ্গে ২০ নারীসহ ১৮৩ প্রবাসী কর্মী দেশে ফিরেছেন। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে তারা দেশে ফেরেন। খবর ইউএনবি’র।

ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান জানান, ২০২০ সালে এ পর্যন্ত ৪০৯ জন প্রবাসী শ্রমিকের মরদেহ দেশে ফিরেছে।

এছাড়া, গতকাল বুধবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইন্সের এসভি-৮০৪ ফ্লাইটে করে ৮৯ এবং রাত ১টা ১০ মিনিটে এসভি-৮০৮ ফ্লাইটে ৯৪ বাংলাদেশি ফিরে আসেন।

তাদের বিমানবন্দরে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় বরাবরের মতো ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম থেকে জরুরি সহায়তা দেয়া হয়।

ফেরত আসাদের মধ্যে সাথী বেগম (৩০) নামে একজন এতটাই অসুস্থ ছিলেন যে তাকে বিমানবন্দর থেকে প্রবাসী কল্যাণ ডেক্সের সহায়তায় উত্তরার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সাথী জানান, বছর খানেক আগে গৃহকর্মীর কাজ নিয়ে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি নিয়োগকর্তার নির্যাতনের শিকার হন।

সাথীর সঙ্গে একই সমস্যা নিয়ে দেশে ফিরেছেন ঢাকার হিরা খাতুন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আবেদা খাতুন, সুনামগঞ্জের আমিরুন বেগম ও মৌলভীবাজারের ফারজানা আক্তারসহ ২০ নারী।

ফেরত আসা পাবনার শরিফ ইউএনবিকে জানান, মাত্র এক বছর আগে গিয়েছিলেন সৌদি আরবে। সেখানে কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও তাকে শূন্য হাতে দেশে ফিরতে হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের শাকিল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাইরুল ইসলামের গল্পটাও একই। কোনও কারণ ছাড়াই এক বছরের মাথায় দেশে ফিরতে হলো তাদের। তাদের সঙ্গে ফিরেছেন পিরোজপুরের শামিম, ময়মনসিংহের আমিন এবং কুমিল্লার বাবুল ও রশিদসহ ১৮৩ কর্মী।

ব্র্যাকের শরিফুল হাসান ইউএনবিকে জানান, চলতি বছরের জানুয়ারিতে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন ১৭৫ নারীসহ তিন হাজার ৬৩৫ বাংলাদেশি।

অন্যদিকে, প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের তথ্য অনুযায়ী ২০১৯ সালে মোট ৬৪ হাজার ৬৩৮ কর্মীকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

শরিফুল হাসান ইউএনবিকে বলেন, ‘ফেরত আসা প্রবাসীদের আমরা শুধু বিমানবন্দরে সহায়তা দিয়েই দায়িত্ব শেষ করছি না। তারা যেন ঘুরে দাঁড়াতে পারেন সে জন্য কাউন্সিলিং, দক্ষতা প্রশিক্ষণ ও আর্থিকভাবেও পাশে থাকার চেষ্টা করছি। সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা সবাই মিলে কাজটি করতে হবে। পাশাপাশি এভাবে যেন কাউকে শূন্য হাতে ফিরতে না হয় সে জন্য রিক্রুটিং এজেন্সিকে দায়িত্ব নিতে হবে। দূতাবাস ও সরকারকেও বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে হবে।’

এজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh