• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

লিবিয়া থেকে দেশে ১৪৮ বাংলাদেশি অভিবাসী

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২৯ জানুয়ারি ২০২০, ১৯:২৩
লিবিয়া থেকে দেশে ১৪৮ বাংলাদেশি অভিবাসী
আইওএমের সহায়তায় লিবিয়া থেকে দেশে ১৪৮ বাংলাদেশি অভিবাসী

জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা আইওএম তাদের ভলান্টারি হিউম্যানাটেরিয়ান রিটার্ন (ভিএইচআর) কর্মসূচির মাধ্যমে লিবিয়া থেকে ১৪৮ জন বাংলাদেশিকে নিরাপদে দেশে ফিরতে সাহায্য করেছে। ফিরে আসা অভিবাসীদের মধ্যে আছে যুদ্ধে আহত, সমুদ্র পথে ইউরোপ যেতে ব্যর্থ এবং লিবিয়ার জেলে বন্দি থাকা অভিবাসীরা।

আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আইওএমের ভাড়া করা একটি বিশেষ প্লেনে তারা দেশে ফেরেন। এর আগে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) লিবিয়ার মিসারত বিমানবন্দর থেকে প্লেনটি রওয়ানা দেয়।

ফিরে আসা অভিবাসীরা আইওএম লিবিয়া থেকে মনসামাজিক সেবা, তাৎক্ষনিক সেবা, ফিরে আসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করা, স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং বাংলাদেশ সরকারের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সহায়তা পেয়েছে। ঢাকায় পৌঁছানোর পর বিমানবন্দরে আইওএম বাংলাদেশ-এর পক্ষ থেকে বাড়ি ফিরতে প্রত্যেকে ৪,৭৩০ টাকা, খাবার, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও মানসিক সেবা পেয়েছেন। আগামীতে এই অভিবাসীদের অর্থনৈতিক সহযোগিতাও করবে আইওএম, যাতে তরা বাংলাদেশে আয় করে জীবন চালাতে পারে।

ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুরের মো. আকবর চার বছর আগে লিবিয়ায় গিয়েছেন পারিবারের ভাগ্য বদলাতে। তিনি বলছিলেন, গ্রামের দালাল ধরে লিবিয়ায় গিয়েছিলেন। বেতন ছিল খুবই কম। কোনমতে নিজে চলতে পারতেন। যে কারখানায় আকবার কাজ করতেন হঠাৎ বিমান হামলা হয় সেখানে। ৪ বাংলাদেশিসহ ১৩ জন মারা যান।

আকবর বলেন, সে এক ভায়াবহ অভিজ্ঞতা। মনে হল অল্পের জন্য জীবনটা বাঁচল। সিদ্ধান্ত নিলাম দেশে ফিরে আসব।

এরপর লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস হয়ে আইওএম-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেন আকবর। স্বেচ্ছায় দেশে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করেন। বুধবার ১৪৮ জনের সঙ্গে আকবর দেশে ফেরেন।

তিনি বলেন, ‘এ এক বিরাট উপকার। কারণ আইওএম-এর মাধ্যমে জীবন নিয়ে দেশে ফিরতে পেরেছি।’

প্রত্যাবর্তনকারীদের মধ্যে আটজন শারীরিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তি আছেন। অসুস্থ ব্যক্তিদের নিবিড়ভাবে স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হয়েছে এবং চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তির জন্য সহায়তা করা হয়েছে।

আইওএম বাংলাদেশের চিফ আব মিশন গিওর্গি গিগাওরি বলেন, লিবিয়ার প্রতিকূল অবস্থা অব্যাহত থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বাংলাদেশিদের সুরক্ষা ও সহায়তা দিতে সর্বদা আমরা তৎপর। যারা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে তাদের তাৎক্ষনিক সব ধরনের সহযোগীতা নিশ্চিত করছি আমরা। একই সঙ্গে ফিরে আসা অভিবাসীদের দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতাও করব আমরা।

ইউরোপিয় ইউনিয়নের অর্থায়নে, বাংলাদেশ সরকার ও লিবিয়া কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় ২০১৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১৪০০ ও বেশি বাংলাদেশিদের দেশে ফিরতে সহযোগিতা করছে আইওএম। বিশ্বব্যাপী ভিএইচআর প্রোগ্রামটির সহযোগিতায় ঝুঁকিপূর্ণ অভিবাসীদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ও সহায়তা দিয়ে থাকে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
লিবিয়া থেকে ফিরলেন আরও ১৪৪ বাংলাদেশি
তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকার আগুনে নিহত সবাই বাংলাদেশি, ধারণা আইওএমের
X
Fresh