অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ডিএনসিসির অভিযান
অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে রাজধানীর আগারগাঁও, ফার্মগেট, গুলশান, রামপুরা ও বনশ্রীতে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) এসব এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ডিএনসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ হোসেন, ফার্মগেট ও গুলশানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদ আনোয়ার এবং রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর নাহিদ আহসান উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।
অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ হোসেনের নেতৃত্বে আগারগাঁওয়ে কোস্টগার্ড সদর দফতরের সামনের বস্তি (এনজিও ব্যুরো অফিসের পিছনে) উচ্ছেদ করা হয়। এ এলাকার ২০-২৫টি টিনের ঘরের কারণে অফিস পাড়ার কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটছিল। সরে যাওয়ার জন্য আগেও তাদের তিনবার সময় দেয়া হয়। বুধবার ভ্রাম্যমাণ আদালত সেখানে গেলে অবশেষে তারা নিজেরাই সব সরিয়ে নেয়। এছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের পেছনের রাস্তায় উচ্ছেদ-পরবর্তী ফলোআপে ফুটপাত ও সড়কে পুনঃস্থাপিত দুটি গ্যারেজ অপসারণ করা হয়েছে। এ সময় একটি গ্যারেজ মালিকের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদ আনোয়ারের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে মনিপুরি পাড়ায় একটি অবৈধ গ্যারেজ উচ্ছেদ করা হয়। এছাড়া ফুটপাতে অবৈধভাবে মোটরসাইকেল রাখার অপরাধে গুলশানের ৯০ নম্বর রোডে চারজনকে এক হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। এছাড়া ফুটপাত দখল করে কাঠের গুঁড়ি রেখে পথচারী চলাচলে বাধাগ্রস্ত এবং ফুটপাত নষ্টের অপরাধে বেঙ্গল ডেভেলপারকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর নাহিদ আহসানের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত বনশ্রী এলাকায় সড়ক দখল করে নির্মাণ সামগ্রী রাখার অপরাধে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ডিএনসিসির অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এসজে
মন্তব্য করুন