কাউন্সিলর রাজীব যে কারণে গ্রেপ্তার
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীবকে সন্ত্রাসবাদ, দখলদারিত্ব ও চাঁদাবাজির মতো সুনির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ৪০৪ নম্বর বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক লে. কর্নেল সারওয়ার-বিন-কাশেম জানান, কেয়েকদিন ধরে আত্মগোপনে ছিলেন কাউন্সিলর রাজীব। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ, দখলদারিত্ব, চাঁদাবাজির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রাজীবকে তার বন্ধুর ওই বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি জানান, অভিযানকালে ওই বাসা থেকে ৭টি বিদেশি মদের বোতল, একটি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, তিন রাউন্ড গুলি, নগদ ৩৩ হাজার টাকা ও একটি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়। অস্ত্রের কোনও কাগজপত্র দেখাতে পারেননি রাজীব।
তিনি বলেন, রাজীব দেশ থেকে পালানোর চেষ্টায় ছিলেন কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীব নিজের এলাকায় রাজত্ব গড়ে তুলেছেন। তার ছত্রছায়ায় গড়ে ওঠেছে চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, টেন্ডারবাজি, কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ আর মাদকসেবীদের আখড়া।
২০১৫ সালের কাউন্সিলর নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে জয়ী হন।
জানা যায়, যুবলীগের সাইনবোর্ড আর কাউন্সিলরের পদ ব্যবহার করে এলাকায় সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে চাঁদাবাজি, দখলবাজি, টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসা, ডিশ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন রাজীব। রাজধানীর গুলশানে রয়েছে তার একাধিক ফ্ল্যাট।
রাজীবের বিরুদ্ধে এলাকার ফুটপাত, সিএনজি স্টেশন, ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মাসে কোটি টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মোহাম্মদপুর এলাকায় যুবলীগের রাজনীতি দিয়েই রাজীবের রাজনৈতিক জীবন শুরু। অল্পদিনেই মোহাম্মদপুর থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক পদ বাগিয়ে নেন তিনি। থানা আওয়ামী লীগের বীর মুক্তিযোদ্ধা নেতাকে প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত করায় তিনি বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। পরে কেন্দ্রীয় যুবলীগের এক নেতাকে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা দিয়ে উল্টো তিনিই হয়ে যান ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
এসএস
মন্তব্য করুন