কয়েক হাজার বাংলাদেশি নারী প্রতি বছর পাচার হয় ভারতে: রয়টার্স
কয়েক হাজার বাংলাদেশি নারী প্রতি বছর ভারতে পাচার হয়। এসব বাংলাদেশি নারীকে যৌনকর্মী বা গৃহকর্মী হিসেবে ভারতে বিক্রি করা হয়।
বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে অ্যান্টি-স্লেভারি অ্যাক্টিভিস্টদের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।
যদিও এই পাচার হওয়া নারীর সংখ্যার বিষয়ে অফিসিয়াল ডেটার ঘাটতি আছে প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করেছে সংবাদ সংস্থাটি।
গত আট বছরে পাচার হওয়া এক হাজার ৭৫০ বাংলাদেশি নারীকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ও মহারাষ্ট্র থেকে তাদেরকে ফিরিয়ে আনা হয়।
এসব ভুক্তভোগীকে সহায়তা দানকারী অ্যান্টি-স্লেভারি চ্যারিটিগুলো বলছে তাদের বেশির ভাগকে ভারতের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে রাখা হয়েছিল।
বাংলাদেশে জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার নামের একটি চ্যারিটির কান্ট্রি ডিরেক্টর তরিকুল ইসলাম বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রে বসবার করা নারীদের দেশে ফিরে খাপ খাওয়ানো কঠিন হয়ে পড়ে।
প্রথমে তাদেরকে আদালতের মামলা নিষ্পত্তির জন্য অপেক্ষা করতে হয়। এরপর তাদেরকে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার সম্পন্ন হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হয়।
ভারতে পাচার সংক্রান্ত প্রতি চারটি মামলার মধ্যে একটির রায় দেয়া হয়। বাংলাদেশে এ সংক্রান্ত মাত্র ৩০টি মামলার রায় হয়েছে। ঝুলে আছে চার হাজারের বেশি মামলা।
পশ্চিমবঙ্গে পাচার হওয়া ১৮০ নারীর ছবি দেয়া হলেও ৮০ শতাংশ নারীকে বাংলাদেশ এখনও শনাক্ত করেনি বলে জানিয়েছেন রাজ্য সরকারের পাচারবিরোধী কনসাল্ট্যান্ট মধুমিতা হালদার।
এই বিষয়ে বাংলাদেশের এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে জানান, পুলিশ এসব ক্ষেত্রে ছয় সপ্তাহের বেশি সময় নেয় না। তবে ভুক্তভোগীর ঠিকানা খুঁজে পেতে সময় লাগে।
সংবাদ সংস্থাটি ভারতে পাচার হওয়া প্রিয়া ও নীলাসহ একাধিক বাংলাদেশি নারীর ঘটনাও উল্লেখ করেছে প্রতিবেদনটিতে।
কে/এমকে
মন্তব্য করুন