• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ভারত বাংলাদেশকে তাদের বাজার বানিয়ে ফেলছে: সুলতানা কামাল

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৫ অক্টোবর ২০১৯, ১৯:৫৫
সুলতানা কামাল
সুলতানা কামাল

ভারত বাংলাদেশকে তাদের বাজারের জায়গা বানিয়েছে। শিল্প কারখানার জায়গা বানিয়ে তারা নিজেদের স্বার্থ গুছিয়ে নেবে এ বিষয়টা কিন্তু আমাদের চিন্তাভাবনা করতে হবে। বললেন মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল।

শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলানায়তনে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ভারত বাংলাদেশের পাশে না থাকলে স্বাধীনতা যুদ্ধ যেভাবে শেষ হয়েছে সেভাবে শেষ হতো না। কিন্তু কথা হলো, সেটার পরিবর্তে আজকে বাংলাদেশকে একটা বাজারের জায়গা বানিয়েছে তারা (ভারত)। শিল্প কারখানার জায়গা বানিয়ে তারা নিজেদের স্বার্থ গুছিয়ে নেবে এ বিষয়টা কিন্তু আমাদের চিন্তাভাবনা করতে হবে।

ইউনেস্কোর ৪৩তম সভার সুপারিশ বাস্তবায়ন, সুন্দরবনের পাশে রামপালসহ সব শিল্প নির্মাণ প্রক্রিয়া বন্ধ এবং সমগ্র দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কৌশলগত পরিবেশ সমীক্ষা সম্পন্ন করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে সংগঠনটি।

সুলতানা কামাল বলেন, মানবাধিকারকর্মী হিসেবে আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, এটা সবচেয়ে সস্তা শ্রমের দেশ। যেনতেনভাবে মানুষকে তাদের জায়গা জমি থেকে উচ্ছেদ করে এ ধরনের প্রকল্প তৈরি করা হচ্ছে। আমাদের এই বিষয়ে দায়িত্ব আছে নাড়াচাড়া দেওয়ার।’

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সরকার ভুল অবস্থান থেকে সরে এসে রামপাল প্রকল্প বাতিল করুক। বনবিরোধী সব স্থাপনা উৎখাত করে প্রাকৃতিক চরিত্রকে সংরক্ষণ করে বিজ্ঞানসম্মত প্রক্রিয়ায় কয়লার বিকল্প উপায়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করা হোক। সম্প্রতি জানা গেছে, রামপাল প্রকল্প নির্মাতা ভারতীয় কোম্পানি এনটিপিসি তাদের নিজ দেশে সব কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থগিত করেছে।

তিনি বলেন, ইকোনমিক টাইমস পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এনটিপিসি আগামী পাঁচ বছর কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাবে না। কারণ তারা কার্বন তৈরির দায় কমাতে চায়। বরং এনটিপিসি গুজরাটে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সৌর শক্তি পার্ক তৈরি করতে ২৫ হাজার কোটি রুপি খরচ করছে। অথচ এই প্রতিষ্ঠান প্রবল গণআপত্তির মুখে বাংলাদেশে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরিতে পিছপা হচ্ছে না। এটা তাদের দায়িত্বজ্ঞানহীন ও ডাবল স্ট্যান্ড (দ্বৈতনীতি) আচরণ।

তিনি বলেন, ইউনেস্কোর ৪৩তম সভায় বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের দুরবস্থা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। মূলত সুন্দরবন নিরাপদ ও ভালো রাখার ব্যাপারে আমাদের সফলতা নিয়ে ইউনেস্কোর ৪১তম সভায় কিছু নেতিবাচক সঠিক পর্যবেক্ষণ ছিল।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের যেসব বিষয়ে দায়িত্ব ছিল বা করণীয় ছিল তা গত জুনে ৪৩তম সভায় প্রতিবেদন আকারে দাখিল করা হয়। কিন্তু ওই সভায় কমিটি সন্তুষ্ট হয়েছে বলে মনে হয়নি। কারণ ২০১৭ সালের কাজগুলো সম্পন্ন করতে তাগাদা দেওয়া হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ইউনেস্কোর পর্যবেক্ষণ দল সরেজমিনে দেখতে সুন্দরবনে আসবে। আর বাংলাদেশকে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে কৃতকাজের প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।

এসজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh