বাংলাদেশের অধিকাংশ অঞ্চল বঙ্গোপসাগরের আদি শিলা দিয়ে গঠিত!
বিশ্ববিদ্যালয় অনুষদ ও গবেষকদের একটি দল বাংলাদেশের নিচে এক প্রাচীন সমুদ্রতল খুঁজে পেয়েছে। কারেন্ট সায়েন্স নামের একটি ভারতীয় বিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকীতে এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদপত্র বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
অনুষদটি ছিল ইউনিভার্সিটি অব হায়দরাবাদের (ইউওএইচ)। আর গবেষকরা ছিলেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওশিয়ানোগ্রাফির (এনআইও) বিজ্ঞান বিভাগের। বিশ্ববিদ্যালয়টি বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানায়।
এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এটি এনআইওতে অনেকদিন ধরে পরিচালিত গবেষণার ফল। বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের গঠনমূলক বিবর্তন বুঝতে পরিচালিত এই গবেষণায় ভারতের দেরাদুনের অয়েল অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস করপোরেশন (ওএনজিসি) এবং যুক্তরাষ্ট্রের হৌস্টনের রাইস ইউনিভার্সিটিও সম্পৃক্ত ছিল।
এতে বলা হয়, গবেষকদের একটি অংশ ইউওএইচে চলে গেলেও গবেষণা চলমান ছিল। গবেষকদেরকে প্রাচীন বঙ্গোপসাগরের তলদেশ এবং নানাভাবে এর বিচ্ছিন্নতার বিষয়টি খুঁজে বের করার জন্য বলা হয়। এই পৃথিবীর গঠন প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের অধিকাংশ ভূখণ্ড গড়ে ওঠার প্রক্রিয়াটিও দেখতে বলা হয়।
গবেষণায় দেখা যায়, বঙ্গোপসাগরের তলদেশে জমা প্রাচীন শিলাগুলো একপর্যায়ে কলকাতা, রাজমহল, সিলেট ও শিলং মালভূমির দিকে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু হিমালয় থেকে প্রবাহিত হওয়ার গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র নদের বিপুল পরিমাণ পলি এগুলোকে পুরোপুরি ঢেকে দেয়।
বিজ্ঞপ্তিটিতে বলা হয়, এসব পলি বঙ্গোপসাগরের প্রাচীন শিলাগুলোকে পুরোপুরি ঢেকে দিয়ে গড়ে তোলা ভূখণ্ডেই অবস্থিত বাংলাদেশের অধিকাংশ অঞ্চল। এই প্রথম ভূখণ্ডের নিচে সামুদ্রিক শিলার অস্তিত্ব পাওয়া গেল এবং এটি পৃথিবীতে একটি অসাধারণ বিষয় হতে পারে বলে দাবি এসব গবেষকের।
কে/এসএস
মন্তব্য করুন