‘পেটের তাগিদে জুয়ার বোর্ডে চাকরি করি’
গতকাল বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার চারটি ক্যাসিনোতে অভিযান চালিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং মাদক দমন নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল। এসময় পাঁচজন ম্যাজিস্ট্রেট ক্যাসিনোগুলো সিলগালা করার পাশাপাশি সেখান থেকে আটক করে ১৮২ জনকে।
তাদের প্রত্যেককে ছয় মাস থেকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আটকদের আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে।
অভিযান চালানো ক্যাসিনোগুলো হলো- ফকিরাপুলের ইয়ংমেনস ক্লাব, মতিঝিলের ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাব, গুলিস্তানের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্র এবং বনানীর গোল্ডেন ঢাকা বাংলাদেশ।
শুরুতে ফকিরাপুলের ইয়ংমেনস ক্লাবে অভিযান চালায় র্যাব। সেখান থেকে ১৪২ জনকে আটক করা হয়। এসময় দুই তরুণীকে আটক করা হয়। তারা ওই ক্যাসিনোর কর্মী বলে জানা যায়।
দুই তরুণীর একজন নিজেকে অভ্যর্থনাকারী ও আরেকজন জুয়ার বোর্ডের কার্ড সরবরাহকারী পরিচয় দেন। অভ্যর্থনাকারীর বেতন ২১ হাজার আর কার্ড বিতরণকারীর ১০ হাজার। দৈনিক ১২ ঘণ্টা চাকরি। গত দেড় মাস ধরে চাকরি করছেন বলে জানান তারা।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম জানান, ওই দুই তরুণী ক্যাসিনোতে চাকরি করতেন। তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়ে পাঠানো হয়েছে।
ওই দুই তরুণী তাদের পাহারায় থাকা এক নারী র্যাব সদস্যকে বলেন, ‘স্যার, আমাদের থ্রি-পিসটা পরতে দেন। এখানে পেটের তাগিদে চাকরি করি। ওয়েস্টার্ন ড্রেস না পরলে চাকরি থাকবে না। এখানে সব জায়গায় সিসি ক্যামেরা লাগানো। খারাপ কাজের কোনও সুযোগ নেই। এখানে জুয়ার বোর্ডে চাকরি করাটাই কি অপরাধ?’
তারা জানান, তারা মোট ৬ জন পর্যায়ক্রমে ডিউটি করেন। তাদের স্বামী এখানে চাকরির কথা জানেন। তবে পরিবারের অন্যরা জানেন না।
এসএস
মন্তব্য করুন