• ঢাকা বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গুর জন্য আবারও বাংলাদেশকে দায়ী করলেন মমতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৯:৪৫
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, ডেঙ্গু, বাংলাদেশ
ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গু পরিস্থিতির জন্য অন্যতম কারণ বাংলাদেশের ডেঙ্গুর প্রকোপ। শুক্রবার বিধানসভায় রাজ্যের ডেঙ্গু চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে এমনটাই ইঙ্গিত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।

তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গু আক্রান্তদের প্রায় অর্ধেকই সীমান্ত লাগোয়া এলাকার। তাই বিষয়টি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও নড়েচড়ে বসুক চান মমতা।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সরকারি হাসপাতালে ১৩ ও বেসরকারি হাসপাতালে ৪ জন, সব মিলিয়ে রাজ্যে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, প্রতিদিন গড়ে ২১০ জন ডেঙ্গু রোগী সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরে যাচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গুর মৃত্যুহার ০.২%, যা অন্য রাজ্যের তুলনায় কম। এডিস মশার লার্ভা ধ্বংস করতে ৫০০ কোটি অর্থবরাদ্দে তিন কোটি গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়েছে। রাজ্যজুড়ে প্রয়োগ করা হয়েছে ৭০ হাজার লিটার বায়ো ও অর্গানিক স্প্রে।

চলতি বছর রাজ্যে সব মিলিয়ে ১০ হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। মূলত তিনটি জেলার মানুষ সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গুর শিকার। এসব জেলা হচ্ছে- উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া ও আলিপুরদুয়ার। তবে সংখ্যার দিক থেকে সিংহভাগই উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মানুষ। স্বাস্থ্য ভবনের তথ্যও বলছে- হাবরা, অশোকনগর, গাইঘাটা, বনগাঁর মতো এই জেলার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতেই মশাবাহিত এ রোগের প্রকোপ এবার সর্বাধিক। মমতাও আবার এদিন জানান, বাংলাদেশের একেবারে পশ্চিমবঙ্গ লাগোয়া দুই জেলা যশোর ও খুলনাই ডেঙ্গুতে এবার সবচেয়ে আক্রান্ত।

বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কাউকে আঘাত করার জন্য বলছি না। বনগাঁয় ইন্দো-বাংলাদেশ বর্ডার। ওখানে (বাংলাদেশ) ৫০ হাজারের বেশি (ডেঙ্গুতে) আক্রান্ত। হাবরা ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট। ট্রেনে কে কোথায় যাচ্ছে! অনেক সময় (ডেঙ্গু) বাইরে থেকেও চলে আসে। বিহার, ঝাড়খণ্ড, বাংলাদেশ থেকেও অনেকে চিকিৎসার জন্য এখানে আসে। কী করব! মানবিক ব্যাপার। এখানকার মানুষও তো বাইরে যায়।

এসময় বিরোধীদের পক্ষ থেকে সিপিএমের পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী জানতে চান, এ ব্যাপারে কী মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা বলবেন? জবাবে মমতা বলেন, আমার পক্ষে হাসিনা সরকারকে বলাটা শোভনীয় নয়। এটা বলা কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ। কেন্দ্রীয় সরকার কথা বলতে পারে। আমরা কেন্দ্রকে অ্যাডভাইজরি পাঠাতে পারি। আমি তো কেন্দ্রীয় সংস্থাকে আবেদন করবো, আপনারা ব্যাপারটা দেখুন। সংক্রামক ব্যাধি যে আন্তর্জাতিক বেড়া মানে না, তা বোঝাতে গিয়ে মমতা বলেন, আগে তো স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে প্লেনে উঠতে দিতো। জ্বরজালা হলে উঠতে দিতো না। এখন ওসব উঠে গিয়েছে!

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (১৭ এপ্রিল)
নাইক্ষ্যংছড়ি দিয়ে রাতে বাংলাদেশে ঢুকল বিজিপির ৫০ সদস্য
ভারত সিরিজের জন্য বাংলাদেশের দল ঘোষণা
কেন গতি কমিয়ে চলছে ট্রেন
X
Fresh