• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

কারাগার থেকে বের হলেন মিন্নি (ভিডিও)

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৬:৫৪

বরগুনার রিফাত হত্যা মামলায় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি। সব আইনি প্রক্রিয়া ও দাফতরিক কাজ শেষে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কারাগার থেকে বের হন তিনি।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর ও তার আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম।

কারাগার থেকে বের হওয়ার পর মিন্নিকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। মিন্নি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে কারাগার প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয় উৎসুক জনতা। কারাগার প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সদস্যরাও।

এর আগে দুপুর ১২টার দিকে মিন্নির জামিনের আদেশের কপি বরগুনার আদালতে পৌঁছায়। সেখানে আইনি প্রক্রিয়া শেষে জামিনের আদেশের কপি কারাগারে পাঠানো হয়।

মিন্নির আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম বলেন, মিন্নিকে দেয়া হাইকোর্টের অন্তবর্তী জামিনের আদেশের স্বাক্ষরিত কপি দুপুর ১২টার দিকে বরগুনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এসে পৌঁছে।

-------------------------------------------------------------------------
আরো পড়ুন: চাকরির প্রলোভনে তরুণীকে ধর্ষণ: ৩ দিনের রিমান্ডে আসামি নাহিদ
-------------------------------------------------------------------------

পরে মিন্নির পক্ষে বেলবন্ড দাখিলের অনুরোধ করা হয়। বিচারক বেলবন্ড গ্রহণ করে কারা কর্তৃপক্ষকে রিলিজ অর্ডার পাঠান। সব দাফতরিক কাজ শেষে বিকেল সোয়া ৪টার দিকে কারামুক্ত হন মিন্নি।

রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে গেল ১৬ জুলাই সকাল পৌনে দশটায় বরগুনা পুলিশ লাইনে নিয়ে আসা হয়। ওইদিনই রাত ৯টার দিকে মিন্নিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরের দিন বিকেল সোয়া ৩টায় বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে হাজির করে মিন্নিকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেয়ার জন্য আবেদন করা হয়। বিচারক তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিল।

রিমান্ডে নেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মাথায় ১৯ জুলাই পুনরায় আদালতে হাজির করে মিন্নির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেয়া হয়। ওইদিনই সন্ধ্যার পরে মিন্নিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বরগুনা কারাগারে পাঠানো হয়। মিন্নিকে আদালতে হাজির ও স্বীকারোক্তি নেয়ার সময় তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর কোন আইনজীবীর সহায়তা পাননি। আইনজীবী না পাওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমে চলে আসলে অনেকেই মিন্নিকে আইনি সহায়তা দেয়ার জন্য এগিয়ে আসেন।

বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে জামিন না পেয়ে মিন্নির পক্ষ থেকে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। গত ২৯ আগস্ট হাইকোর্ট থেকে মিন্নি জামিন পেয়েছে।

মিন্নির মুক্তির পরে তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর জানিয়েছেন, তারা ন্যায় বিচার পেয়েছেন। ষড়যন্ত্র করে তার মেয়েকে মামলার আসামী করা হয়েছে। তার মেয়ে নির্দোষ। রিফাত হত্যার দায় থেকেও মিন্নি মুক্তি পাবেন।

গত ২৬ জুন রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই মামলায় মিন্নিসহ ২৪ জনকে দায়ী করে গত ১ সেপ্টেম্বর চার্জশিট দেয় পুলিশ।

এসজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh