ট্রাম্পকে দেয়া বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের তথ্য সঠিক নয়: মার্কিন রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশি পরিচয় দিয়ে এক নারী যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দেয়া বাংলাদেশে সংখ্যালঘু গুমের তথ্য সঠিক নয় বলে মনে করেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন নাগরিক রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার।
তিনি শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় বৌদ্ধ মন্দিরে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদেরকে একথা জানান । তিনি বলেন, এখানকার ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলো একে অপরকে শ্রদ্ধা করে।
রবার্ট মিলার বলেন, আমি নিযুক্ত হওয়ার প্রথম আট মাসে বাংলাদেশের আটটি বিভাগ পরিদর্শন করেছি। মসজিদ, মন্দির ও গির্জায় গিয়ে সেখানকার প্রধানদের সঙ্গে কথা বলেছি।
তিনি বলেন, আমার মনে হয় এখানকার সব ধর্মের মানুষ একে অপরকে শ্রদ্ধা করে। তাই মতে ট্রাম্পকে দেয়া তথ্য সঠিক নয়। বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য নাম।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বুধবার বিকেলে ওভাল অফিসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার এমন কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলেন।
কথোপকথনের একপর্যায়ে এক নারী নিজেকে বাংলাদেশি উল্লেখ করে ট্রাম্পের কাছে তার বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এই নারীকে মিসেস সাহা বলে উল্লেখ করা হয়েছে হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে।
ট্রাম্পের সঙ্গে সাহার কথোপকথন আরটিভি অনলাইনের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-
সাহা: স্যার, আপনাকে ধন্যবাদ। স্যার, আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। আর এখানকার ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান গুম হয়ে গেছে। দয়া করে আমাদের, বাংলাদেশের জনগণকে সাহায্য করুন। আমরা আমাদের দেশে থাকতে চাই।
ট্রাম্প: বাংলাদেশ।
সাহা: হ্যাঁ। এখনও এক কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু মানুষ আছে। আমাদের অনুরোধ দয়া করে আমাদেরকে সাহায্য করুন। আমরা আমাদের দেশ ছাড়তে চাই না। শুধু সাহায্য করুন প্রেসিডেন্ট।
(এই পর্যায়ে সাহার দিকে করমর্দনের জন্য হাত বাড়িয়ে দেন ট্রাম্প। সাহাও হাত বাড়িয়ে করমর্দন করেন কিন্তু কথোপকথন চলতে থাকে।)
সাহা: আমি আমার বাড়ি হারিয়েছি। তারা আমার বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। তারা আমার জমি কেড়ে নিয়েছে। কিন্তু কোনও বিচার হয়নি।
ট্রাম্প: কে এই জমি কেড়ে নিয়েছে? কে এই বাড়ি ও জমি কেড়ে নিয়েছে?
সাহা: মুসলিম মৌলবাদী গোষ্ঠী। এবং তারা - সবসময় রাজনৈতিক আশ্রয় পাচ্ছে। সবসময়।
কে/এমকে
মন্তব্য করুন