ওয়াসার ১১ খাতে দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুদক (ভিডিও)
ওয়াসার ১১টি খাতে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামের কাছে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন জমা দেন দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খান।
প্রতিবেদনে দুর্নীতির প্রমাণ ও এসব দুর্নীতি প্রতিরোধে ১২টি প্রস্তাব দেয় দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি।
এবিষয়ে দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খান বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ না করে বিভিন্ন অজুহাতে প্রকল্প বাস্তবায়নে সময়সীমা ও প্রকল্প ব্যয় বাড়ানো হয়। এক্ষেত্রে প্রকল্প পরিচালকসহ প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী এবং ওয়াসার (পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ) ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ যুক্ত থাকেন।
তিনি বলেন, মিরপুরে ৫২১ কোটি টাকার একটি প্রকল্পে ৫২ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় দেখানো হয়েছে। কাজের মান ও পরিমাপের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসূত্র করে এই অনিয়ম হয়েছে বলে প্রমাণ পেয়েছে দুদক।
এছাড়া দুদকের তদন্তে দেখা গেছে, এই কাজগুলো ওয়াসার কর্মকর্তাদের পছন্দের ঠিকাদারকে দেওয়া হয়েছে। আবার ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ওভারটাইম না করেই বিল নিয়েছে এসব দুর্নীতির প্রমাণও পেয়েছে দুদক।
দুদক পরিচালক বলেন, ঢাকা মহানগরে পানি সংগ্রহ প্রকল্পে ৫৫২ কোটি টাকা বেশি ব্যয় দেখানো হয়েছে। সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার প্রকল্পের কাজ ২০২০ সালের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও এই কাজ সময়ের মধ্যে শেষ হওয়া সম্ভব না।
এমকে
মন্তব্য করুন