চার প্রতিষ্ঠান দিয়ে দুধের নমুনা পরীক্ষা করাতে হাইকোর্টের নির্দেশ
চার প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে স্বাধীনভাবে দুধের নমুনা পরীক্ষা করাতে বিএসটিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
চার প্রতিষ্ঠান হলো- বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর), জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট (আইপিএইচ), বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই), আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণাকেন্দ্র (আইসিডিআরবি)।
দেশে লাইসেন্সধারী সব কোম্পানির পাস্তুরিত দুধ পরীক্ষা শেষে তার রিপোর্ট আগামী সাতদিনের মধ্যে আদালতে জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়।
আজ রোববার দুধে ক্ষতিকর উপাদানের পস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে করা রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি সৈয়দ রিফাত আহমেদ ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন, আইনজীবী অনীক আর হক। আর বিএসটিআইয়ের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এম আর হাসান মামুন।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট দুধের ১০ ধরনের নমুনার ওপর দুই দফা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। দুধের সবগুলো নমুনাতেই অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি পাওয়া যায়।
এছাড়া পাস্তুরিত দুধ নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়াল ডিজিস রিসার্চ (আইসিডিডিআরবি) তার গবেষণা প্রতিবেদনে জানিয়েছে বাজারে থাকা ৭৫ শতাংশ পাস্তুরিত দুধেই ভেজাল রয়েছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।
এই প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানভীর আহমেদ।
এই রিট আবেদনে গত বছরের ২১ মে বিশেষজ্ঞ ও গবেষকদের নিয়ে কমিটি করে বাজারে থাকা পাস্তুরিত দুধ পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। খাদ্য ও স্বাস্থ্য সচিব এবং বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালককে দেওয়া এই নির্দেশের পর গত ২৫ জুন বিএসটিআইয়ের আইনজীবী ব্যারিস্টার সরকার এম আর হাসান আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
বিএসটিআই-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, চৌদ্দটি কোম্পানির পাস্তরিত দুধে আশঙ্কাজনক বা ক্ষতিকর কোনো কিছুই পাওয়া যায়নি। কিন্তু একইদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদ ও বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টার এক সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করে যে, পাস্তুরিত দুধের সাতটি নমুনার কোনোটিতেই কাঙ্ক্ষিত মাত্রার ‘সলিড নট ফ্যাট’ পাওয়া যায়নি।
এমকে
মন্তব্য করুন