• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo

শিশুরা ধর্ষিত হচ্ছে আত্মীয়-প্রতিবেশী-পরিচিতদের মাধ্যমে

মূল্যবোধ, ধর্মীয় শিক্ষা ও শাস্তির অভাবে ধর্ষণ পরিস্থিতি ভয়াবহ (ভিডিও)

মুক্তা মাহমুদ, আরটিভি অনলাইন

  ০৯ জুলাই ২০১৯, ১৫:০২

কেবল গত ছয় মাসেই ৪৯৬ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। গত বছরের চেয়ে যা ৪১ শতাংশ বেশি। আর চলতি মাসের প্রথম সাত দিনে ধর্ষিত হয়েছে ৪১ শিশু। ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে ২৩ জনকে। আতংকের বিষয় হচ্ছে, এসবই হয়েছে নিকটাত্মীয়, প্রতিবেশী বা পরিচিত জনের মাধ্যমে।

মূল্যবোধের চরম অবক্ষয়, ধর্মীয় শিক্ষা থেকে দূরে সরে যাওয়া এবং উপযুক্ত শাস্তি না হওয়ায় পরিস্থিতি ভয়াবহ দিকে যাচ্ছে বলে মনে করেন মানবাধিকার ও সমাজ বিশ্লেষকরা।

সায়মার বাবার অসহায়ত্বই যেন এই সমাজের এখনকার বাস্তবতা। গেল শুক্রবার রাজধানীর বনগ্রামে সাত বছরের শিশু সামিয়া আফরিন সায়মাকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় পুরো দেশ আরেকবার কেঁপে ওঠে।

একদিন আগে বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জের ‘বাইতুল হুদা ক্যাডেট মাদ্রাসা’র প্রতিষ্ঠাতা, পরিচালক ও অধ্যক্ষ আল আমিনকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করে ‌রাব।

অনুসন্ধান বলছে, দেড় বছরে তিনি ১০ থেকে ১২ জন ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছেন।

একই রকম অভিযোগ নারায়ণগঞ্জের ‘মিজমিজি অক্সফোর্ড হাইস্কুলে’র শিক্ষক আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে পর্নগ্রাফির মামলাও হয়েছে।

দক্ষিণের জেলা চট্টগ্রামের আনোয়ারার ঘটনাটি তো আরো ভয়াবহ। গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে চার বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক করে গণধোলাইয়ের শিকার।

এমন সব বীভৎস ঘটনা দেশের প্রায় সব জায়গায় প্রতিদিনই হচ্ছে। ১৫টি জাতীয় দৈনিক পর্যালোচনা করে ‘বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম’ বলছে- এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৪৯৬ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এদের মধ্যে ৫৩ জন আবার গণধর্ষণের শিকার। প্রতিবন্ধী ২৭ জন।

কেবল এপ্রিল ও মে এই দুই মাসে ধর্ষণ সংখ্যা ২৪১। ধর্ষণ চেষ্টা হয়েছে ৭৪ জনকে। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ২৩ জনকে। সবচেয়ে ভয়াবহ হলো চলতি জুলাই মাসের প্রথম সাত দিনেই ৪১ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি গণধর্ষণ এবং ২৩ জনকে পরে খুন করা হয়েছে।

এই পরিসংখ্যানকে উদ্বেগজনক মন্তব্য করে সংস্থার সভাপতি বললেন, বেশির ভাগ শিশুই নিকটজনের হাতে নির্যাতিত হচ্ছে।

এমন মানসিক বিকৃতির একক কারণ নেই বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এই শিক্ষক। তবে এজন্য প্রধানত পর্নগ্রাফির অবাধ বিস্তার ও বিকৃত যৌনাকাঙ্ক্ষাকে দায়ী করলেন তিনি।

আর এই মানবাধিকার কর্মীর মতে, সঠিক বিচার ও শাস্তি না হওয়ায় ধর্ষকরা আরো বেপরোয়া হচ্ছে।

পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সামাজিক দায়বদ্ধতা যেমন জরুরি তেমন উপযুক্ত বিচারের দৃষ্টান্ত রাখার তাগিদ দিলেন সমাজবিজ্ঞানী ও মানবাধিকার কর্মীরা।

এসজে/সি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
প্রেমিকাকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে প্রেমিক গ্রেপ্তার
মাদক সেবনে বাধা, বৃদ্ধাকে ধর্ষণের পর হত্যা
মাদকের টাকার জন্য স্ত্রীকে ধর্ষকদের হাতে তুলে দিলেন স্বামী
মন্দিরে সিঁদুর পরিয়ে নারীকে ধর্ষণ, অতঃপর....
X
Fresh