• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ শুরুর পর অপরাধের মাত্রা কমেছে

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৫ জুন ২০১৯, ১৫:৫৬

ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ শুরুর পর অপরাধের মাত্রা কমে এসেছে। এছাড়া কোনও অপরাধ সংঘটিত হলে তার উদঘাটনের হার ৯০ শতাংশের উপর বেড়েছে। আগে ৫০ শতাংশের বেশি রহস্যের উদঘাটন করা যেত না।

শনিবার (১৫ জুন) সকাল সাড়ে ১১টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে নাগরিকদের ‘তথ্য সংগ্রহ সপ্তাহ’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, উন্নত বিশ্বের আদলে ডিএমপি প্রথমে নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করে। এখন অন্যান্য জায়গায়ও তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়েছে। কঠোর গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার মাধ্যমে নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। গত তিন বছরে কোনও নাগরিকের তথ্য ফাঁস হওয়ার ঘটনা ঘটেনি।

তিনি বলেন, অপরাধ কমিয়ে আনতে বর্তমানে ঢাকা শহরের ৬২ লাখ ৩৪ হাজার ৫৪৭ জন নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব তথ্য সংগ্রহ করা আছে সিটিজেন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে (সিআইএমএস)। এর মধ্যে ২ লাখ ৪১ হাজার ৫০৭ জন বাড়িওয়ালা, ভাড়াটিয়া ১৮ লাখ ২০ হাজার ৯৪ জন, মেস সদস্য ১ লাখ ২১ হাজার ৪০ জন, পরিবারের সদস্য ৩১ লাখ ৬৬ হাজার ৮২১ জন এবং ড্রাইভার ও গৃহকর্মী ৮ লাখ ৮৩ হাজার ৯৮৪ জনের তথ্য রয়েছে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ১৫ জুন থেকে আগামী ২১ জুন পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ সপ্তাহ অনুষ্ঠিত হবে। অপরাধ নিয়ন্ত্রণের লক্ষে ঢাকায় বসবাসরত নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহের বিষয়টি আরও জোরদার করতে নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ সপ্তাহ পালন করছে ডিএমপি। এরমধ্যে ঢাকায় ৫০টি থানার ৩০২টি বিটে ভাগ করে নাগরিকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশ তথ্য সংগ্রহ করবে। এরপর ২১ জুন থেকে ডিএমপি সদর দপ্তর থেকে আরেকটি টিম আটটি ক্রাইম বিভাগে ভাগ হয়ে দৈবচয়ন পদ্ধতিতে ক্রস চেক করবেন। কোথাও কেউ বাদ পড়লে পরবর্তীতে তাদেরকে পুনরায় তথ্য ফরমের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার পর ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করে সিআইএমএস সফটওয়্যারে সংরক্ষণ শুরু করে ডিএমপি। এর আগে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে এর পাইলট প্রকল্প শুরু হয়।

অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, রাজধানীতে আমরা হাজার হাজার সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়েছি। এর মাধ্যমে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন অপরাধের রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজের সাহায্যেই আমরা মালিবাগে পুলিশের গাড়িতে ককটেল হামলার ঘটনার রহস্য উদঘাটনের কাছাকাছি চলে এসেছি।

রাজধানীর উত্তরা-১৪ নম্বর সেক্টরে উবার চালক মো. আরমান (৪২) হত্যার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উত্তরায় উবার চালক খুন হয়েছেন, এটি আমাদের মাথায় আছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। ওই এলাকায় ব্যাপকভাবে সিসিটিভি ক্যামেরা ইন্সটল করা রয়েছে। এরমধ্যে মহাখালী থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত এক হাজারের মতো উচ্চক্ষমতা সম্পূর্ণ নাইটভিশন সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh