পাসপোর্ট ছাড়াই কাতারে পাইলট: পুলিশের এসআই বরখাস্ত
বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইট নিয়ে কাতার গিয়ে পাসপোর্ট না থাকায় পাইলট আটকে পড়ার ঘটনায় বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের এক উপ-পরিদর্শককে (এসআই) বরখাস্ত করা হয়েছে। পুলিশের ওই কর্মকর্তার নাম কামরুজ্জামান।
গেলো ৫ জুন বিমানের ওই পাইলটের পাসপোর্ট না দেখেই তাকে কাতার যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইসমাইল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এয়ারলাইন্সের ক্রুদের জিডি (জেনারেল ডিক্লারেশন) দিয়েই ইমিগ্রেশন হয়, পাসপোর্ট প্রুভ হিসেবে দেখা হয়।
ইমিগ্রেশনে দায়িত্বরত কর্মকর্তা ওই অফিসার, ওই জিডিতে ত্রু আইডি দিয়ে ইনপুট দেওয়ার পরই সব তথ্য আসে। সেদিনও ক্রু আইডি দিয়ে সব দেখার পর তার কাছে সঠিক মনে হওয়াতে ইমিগ্রেশন করে দিয়েছে।
কিন্তু তিনি (ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ) পাসপোর্ট দেখাননি, ইমিগ্রেশন অফিসার জিজ্ঞেস করার পর বলেছেন, পাসপোর্ট তার ব্যাগে রয়েছে। যেহেতু চেনাজানা, সবসময় আসা-যাওয়া করে সিনিয়র পাইলট, তাই হয়তো সরল বিশ্বাসে করে দিয়েছেন। তারপরও বিষয়টি আমলে নিয়ে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে গত বুধবার (৫ জুন) রাতে বিমানের বোয়িং-৭৮৭ উড়োজাহাজ নিয়ে কাতার যান ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ চৌধুরী। এসময় দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়ে সঙ্গে পাসপোর্ট না থাকায় তাকে আটকে দেয় কাতার ইমিগ্রেশন।
এসজে/পি
মন্তব্য করুন