ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবি, সেই এনামুল ও রাজ্জাক রিমান্ডে
সিলেটে মানবপাচার করার অভিযোগে গ্রেপ্তার সেই এনামুল হক ও তার সহযোগী আবদুর রাজ্জাককে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বৃহস্পতিবার সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লায়লা মেহের বানু তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর মধ্যে সিলেট নগরীর রাজাম্যানশনের ‘নিউ ইয়াহিয়া ওভারসিজ’র স্বত্তাধিকারী এনামুল হকের ৬ দিন ও তার সহযোগী আবদুর রাজ্জাকের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে।
রিমান্ডে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এর কর্মকর্তারা।
রিমান্ড মঞ্জুরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির ইকোনমি ক্রাইম স্কোয়াডের পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম।
লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে ইতালীতে মানব পাচারের সময় গত ৯ মে নৌকাডুবিতে সিলেটের যাদের মৃত্যু হয়েছে তারা এনামুল হকের মাধ্যমেই যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বলে গণমাধ্যম সূত্র জানিয়েছে।
সিআইডির পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম জানান, ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হলে শুনানি শেষে আদালত এনামুলের ছয় দিন ও রাজ্জাকের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এছাড়া নৌকাডুবির ঘটনায় বেঁচে ফিরে আসা ফেঞ্চুগঞ্জের বিল্লাল হোসেন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত ১৬ মে রাতে সিলেটের আলোচিত মানবপাচারকারী এনামুল হকসহ ২০ মানবপাচারকারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ইতালিতে যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে নিহত আব্দুল আজিজের ভাই ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মুহিদপুর গ্রামের মফিজ উদ্দিন।
মামলার আসামীরা হলেন, সিলেটের রাজা ম্যানশনের নিউ ইয়াহিয়া ওভারসিজের স্বত্তাধিকারী গোলাপগঞ্জ উপজেলার পনাইরচক গ্রামের মৃত আব্দুল খালিক উরফে কটাই মেম্বারের ছেলে এনামুল হক, একই উপজেলার হাওরতলা গ্রামের ইলিয়াস মিয়ার ছেলে জায়েদ আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাজ্জাক হোসেন, ঢাকার সাইফুল ইসলাম, মঞ্জুর ইসলাম উরফে গুডলাক ও তাদের সহযোগী অজ্ঞাত আরো ১০-১৫ জন। ওই রাতেই এনামুলসহ তিন মানবপাচারকারীকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গত ৯ মে ভূমধ্যসাগর পথে লিবিয়া থেকে ইতালি যাবার পথে নৌকাডুবিতে মারা যান বেশ কিছু বাংলাদেশীসহ অন্তত ৬৫ জন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই সিলেটের বাসিন্দা।
এস
মন্তব্য করুন