এবার দর কষছে অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং! (ভিডিও)
অ্যাপভিত্তিক মোটরসাইকেল সেবা চালুর আড়াই বছরের মধ্যেই নানা অনিয়মের শৃঙ্খলে বন্দি হয়ে পড়েছে। অ্যাপের বাইরে চুক্তিতে যাওয়া অতিরিক্ত ভাড়া দাবি, নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে অস্বীকৃতি, প্রমোকোড প্রতারণাসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত কাঙ্ক্ষিত সেবাটি।
‘রাইড শেয়ারিং সেবা’কে একটি আইনি কাঠামোতে পরিচালনায় জন্য নীতিমালা করা হলেও তা মানছে না কোম্পানিগুলো।
আবুল কালাম আজাদ। প্রবাস জীবন শেষে দেশে ফিরে পেশা হিসেবে নিয়েছেন, অ্যাপভিত্তিক মোটরবাইক সেবাকে। যানজট ও গণপরিবহন সংকটের কারণে, দুই চাকার বাহনটি এখন জীবিকার অবলম্বন হয়ে উঠেছে, আজাদের মতো অনেক বেকার যুবকের।
গতিহীন রাজধানীর সড়কে দ্রুত চলাচলে নগরবাসীর আস্থার বাহনে পরিণত হয়েছে, অ্যাপে চলাচলকারী মোটরসাইকেল। গত কয়েক বছরে উবার, পাঠাও, সহজ ডট কম, ওভাই, চলো, আমার বাইকসহ প্রায় এক ডজনেরও বেশি অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং কোম্পানি গড়ে উঠেছে। যাত্রীদের চাহিদার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সেবার মান নষ্ট করছে, এক শ্রেণির মুনাফালোভী চক্র।
অ্যাপে না চালিয়ে সিএনজি অটোরিকশার মতো বাড়তি ভাড়ায় যাওয়ার প্রবণতা শুরু হচ্ছে বাইকারদের মধ্যে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। মোটরসাইকেল চালকদের এমন অনিয়মের বিষয়টি উঠে এসেছে আরটিভি’র ক্যামেরায়। কারওয়ান বাজার থেকে গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত যেতে অ্যাপে দেখানো ভাড়ার দ্বিগুণ টাকা চাওয়া হয়।
রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের চালকদের অদক্ষতায় বাড়ছে দুর্ঘটনা। চালকের বেপরোয়া গতির কারণে সম্প্রতি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী লাবণ্য নিহত হন।
এছাড়া বেশ কয়েকটি প্রাণহানি হয় বাইকের মাধ্যমে। যাত্রীদের নানাভাবে নাজেহাল এবং একাধিক দুর্ঘটনা আতঙ্কের কারণে পরিণত হয়েছে, অ্যাপভিত্তিক মোটরসাইকেল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গণপরিবহনের ভালো বিকল্প তৈরি না হওয়ায় অ্যাপভিত্তিক সেবায় অরাজকতা বেড়েছে।
তবে এসব বিষয়ে অ্যাপভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
এস
মন্তব্য করুন